বাইকের অত্যাধুনিক যতো হেলমেট
বাইক চালাবেন আর হেলমেট পড়বেন না, তা হলো না। বলা যায় না– কখন হয়ে যেতে পারে একটি মর্মান্তিক দূর্ঘটনা, যা হয়ে থাকবে সারা জীবনের কান্না। নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে তাই মজবুত এবং টেকসই হেলমেটের কোন জুড়ি নেই। আর, বাজারেও এখন আছে প্রযুক্তি-সমৃদ্ধ অত্যাধুনিক হেলমেটের সম্ভার।
বাইকে ছোট সাইড-ভিউ আয়নাগুলো প্রায় কোন কাজে আসে না বললেই চলে। ছোট এ অয়নাগুলোতে না যায় ভালোমত পেছনের গাড়িগুলো দেখা, না সেগুলোতে থাকে আরামদায়ক দৃষ্টি সীমানার পরিসর। এই সমস্যাগুলোকে মোকাবিলা করতে এখন হেলমেট ডিসাইনাররা এই রিয়ার-ভিউ মিররকেই আনার চেষ্টা করছেন হেলমেটের কাঁচের ওপর।
তারা হেলমেটে হেডস আপ ডিসপ্লে (এইচইউডি) দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, যার ফলে বাইকারের পেছনে কে আছেন তা দেখার জন্য আর রিয়ার-ভিউ আয়না বা মাথা ঘুরিয়ে দেখবার প্রয়োজন হবে না। তা দেখা যাবে সরাসরি চোখের সামনে থাকা হেলমেটের ভিসরের (কাঁচ) ওপর। এইচইউডি প্রযুক্তির ‘রিভ্যু’ ব্র্যান্ডের হেলমেটে আছে আলোক বিচ্যুতিকরণ প্রযুক্তি– যা মাথার পেছনের দৃশ্যকে সরাসরি তুলে ধরবে হেলমেটের কাঁচের ওপর।
তবে, সম্ভবত ‘ক্রসহেলমেট এক্স১’ এর মত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বাজারে দ্বিতীয়টি মেলা ভার। এইচইউডি’র সাথে এই হেলমেটে আছে একটি রিয়ার-ভিউ ক্যামেরা যা একজন রাইডারকে দেবে ৩৬০ ডিগ্রী দৃষ্টি সীমানা। এর পাশাপাশি চোখের সামনের ডিসপ্লেতে দেখা যাবে রাস্তার নকশা, যার ফলে গুগল ম্যাপ দেখতে আর ফোনের দিকে তাকাতে হবে না। ‘ক্রসহেলমেট এক্স১’ হেলমেটে আরও আছে ‘নয়েজ কন্ট্রল’ প্রযুক্তি, যা কী না আপনি চাইলে রাস্তাঘাটের বিরক্তিকর গাড়ি-ঘোড়ার শব্দগুলোকে স্তিমিত করে দেবে। হেলমেটটির ভেতরেই আছে স্বয়ংক্রিয় লাইটিং ব্যবস্থা, যা রাতে রাইডারকে আরো দৃশ্যমান করে তুলবে। এতো সব অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে মনকাড়া ডিজাইনের এই হেলমেটটি পাওয়া যাবে ১,৬০০ মার্কিন ডলারে।
যদি টাকার অংকটা বেশি হয়ে যায়, তাহলে সস্তায় ব্ল্যু-টুথ হেলমেট দেশেই পাওয়া যাবে চার থেকে ছয় হাজার টাকার মধ্যে। এতে অবশ্য এইচইউডি ডিসপ্লের মতো অতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নেই; তবে এটি ভিন্ন একটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। চলতি পথে মোবাইলে কথা বলা আরো সহজ করে দেবে। এর ব্ল্যু-টুথ প্রযু্ক্তির মাধ্যমে হেলমেটটি সরাসরি আপনার ফোনের সাথে সংযুক্ত থাকবে– যার ফলে, ফোন এলে আর কষ্ট করে মোবাইলটা হেলমেট এবং গালের মাঝামাঝি সেট করতে হবে না। হেলমেট পড়েই করতে পারবেন কল রিসিভ আর বলতে পারবেন কথা।
তবে মনে রাখবেন, সব সময় নিরাপদে থাকতে হবে; বাইক চালাতে হবে সাবধানে।
Comments