যেন ইংল্যান্ড জিততে চায়নি বলেই জিতল বেলজিয়াম

ঠিক বিশ্বকাপের ম্যাচ না বলে যদি কেউ এটাকে প্রীতি ম্যাচ বলেন, তাহলে খুব একটা ভুল হবে না। কারণ কালিনিনগ্রাদে বৃহস্পতিবার রাতে ইংল্যান্ড ও বেলজিয়াম কেউ-ই যেন জিততেই চায়নি। পুরো ম্যাচে হয়নি জোরালো কোন আক্রমণ। বলার মতো দুই একটা যা করল বেলজিয়ামই। তারই একটি আচমকা শটে গোল পেয়ে যায় তারা। ওই গোলেই ‘জি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে নাম লেখায় বেলজিয়াম।

জিতলে দ্বিতীয় রাউন্ডে অপেক্ষাকৃত দুর্বল পাওয়া যেত। কিন্তু ফাইনালের পথে এড়ানো যেত ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, উরুগুয়ের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলগুলোকে। আর সে প্রতিযোগিতায় যেন নেমেছিল দুই দল। সাদামাটা ফুটবল খেলে সে লক্ষ্য পূরণে সমর্থ হয় ইংলিশরা। দ্বিতীয় রাউন্ডে তাদের তাদের প্রতিপক্ষ কলোম্বিয়া। তবে ফাইনালের পথে স্পেন ছাড়া আর কোন বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি হতে হবে না তাদের।

এদিন দুই দলই আগের ম্যাচের একাদশের থেকে বড় পরিবর্তন করে। ইংল্যান্ড দলে পরিবর্তন আসে আটটি। আর বেলজিয়ামে নয়টি। দ্বিতীয় সারির দলদুটি ম্যাচের শুরু থেকে গা বাঁচানো খেলায় ব্যস্ত থাকে। মাঝে মধ্যে বিক্ষিপ্ত যা আক্রমণ হয় তার সিংহভাগই করে বেলজিয়াম। গোলও পায় একটি। ওই একটি গোলই হয় ম্যাচের নির্ধারক।

ম্যাচের ৬ মিনিটে দূরপাল্লার দারুণ এক শট নিয়েছিলেন ইউরি তিলেম্যানস। লাফিয়ে সে শট রুখে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। দুই মিনিট পর ফেলানির হেডে জটলা তৈরি হয় ইংলিশদের ছোট ডি বক্সে। তা থেকে বল গড়িয়ে জালের দিকে যেতে থাকলে একবারে দাগ থেকে সে বল ফেরান এক ইংলিশ ডিফেন্ডার।

২৬ মিনিটে কর্নার থেকে বল জটলা সৃষ্টি হলে বল পান ফেলানি। তার জোরালো শট ফিরিয়ে দেন ইংলিশ ডিফেন্ডার। ছয় মিনিট পর সুযোগ পেয়েছিল ইংল্যান্ড। তবে রুবেন লফটাস-চেকের হেড লক্ষ্যে থাকেনি।  এরপর তেমন কোন আক্রমণ না হলে গোলশূন্য ভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।

দ্বিতীয়ার্ধের দুই মিনিটে রাশফোর্ডের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।  ৫১ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি আসে।  তিলেম্যানসের কাছ থেকে বল পেয়ে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে কোনাকুনি শটে দারুণ এক গোল দেন আদনান জানুজাই।

তবে দিনের সেরা সুযোগটা পেয়েছিল ইংল্যান্ড। ৬৭ মিনিটে ফাঁকায় গোলরক্ষককে একা পেয়েও বাইরে মারেন ফ্যাবিয়ান ডেলফ। শেষ দিকেও গোল শোধের তেমন তাড়া দেখা যায়নি ইংলিশদের। উল্টো আক্রমণের ধার বাড়ায় রেড ডেভিলরা।

৮৯ মিনিটে ড্রিস মার্টিনসের শট ঝাঁপিয়ে পরে ফিরিয়ে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক। পরের মিনিটে আবারও গোল পেতে পারতো তারা। থরগান হ্যাজার্ডের শট ফিরিয়ে দেন ডিফেন্ডাররা। অতিরিক্ত সময়েও গোলের দারুণ সুযোগ ছিল বেলজিয়ামের। ফাঁকায় বল পেয়েও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ফেলানি। ফলে ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বেলজিয়াম।

Comments

The Daily Star  | English

Afghanistan earthquake kills 800 with more than 2,500 injured

More than 1.2 million people likely felt strong or very strong shaking

9h ago