আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্স : ভবিষ্যদ্বাণী, একাদশ ও রেকর্ড
গ্রুপ পর্বের লড়াই শেষ। এবার শুরু নকআউট পর্ব। হারলেই বিদায়। তাই সর্বোচ্চটা বাজি রেখেই খেলবে দলগুলো। শুরুতেই হাই ভোল্টেজ ম্যাচ। দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার মোকাবেলা করবে ১৯৯৮ এর চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স।
আর্জেন্টিনার প্রাণ ভোমরা লিওনেল মেসি। তাকে ঘিরেই সকল পরিকল্পনা সাজিয়েছে দলটি। অন্যদিকে এক ঝাঁক তরুণ তারকায় গড়া ফ্রান্স। যদিও এখন পর্যন্ত শক্তির মাত্রা দেখাতে পারেনি তারা। তবে জ্বলে উঠতে পারেন যখন তখন। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইটা তাই সবারই প্রত্যাশা।
ম্যাচের ফলাফল কি হবে তা জানা যাবে ম্যাচ শেষে, তবে তার আগেই ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে হাজির আমরা। পাশাপাশি দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ, কৌশলও তুলে ধরা হলো-
কখন?
বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা, শনিবার, ৩০ জুন
কোথায়?
কাজান অ্যারেনা, কাজান
নজরে থাকবেন যারা
নিঃসন্দেহে এ ম্যাচে সবার চোখ থাকবে লিওনেল মেসির উপর। খোলস ভেঙে আগের ম্যাচে চেনা রূপে ফিরেছেন। দলও খেলেছে দারুণ। আর আর্জেন্টাইনরাও স্বপ্নটা বুনছে যে তাকে ঘিরেই। এছাড়া ডি মারিয়া, গঞ্জালো হিগুয়েইনের সেরা ফর্মের প্রত্যাশায় থাকবে সমর্থকরা।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা পল পগবা দলের প্রাণ ভোমরা। ফ্রান্সের মধ্য মাঠের কারিগর তিনিই। তবে কিলিয়ান এমবেপের দিকেই থাকবে বাড়তি নজর। চলতি বিশ্বকাপে সর্বকনিষ্ঠ ফরাসী হিসেবে বিশ্বকাপে গোল দেওয়ার রেকর্ডটিও করেছেন। এছাড়া অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের আঁতোয়া গ্রিজম্যান, ওসমান ডেম্বেলের দিকেও থাকবে বাড়তি নজর।
সম্ভাব্য একাদশ ও ম্যাচের কৌশল
আর্জেন্টিনা : (৪-৪-২) আরমানি, মারকেদো, ওতামেন্দি, রোহো, ত্যাগলিয়াফিকো, বানেগা, মাশ্চেরানো, পেরেজ, মেসি, ডি মারিয়া ও হিগুয়েইন।
ফ্রান্স : (৪-২-৩-১) লরিস, পাভার্দ, ভারানে, উমতিতি, হের্নান্দেজ, কান্তে, পগবা, এমবেপে, গ্রিজম্যান, মাতুইদি ও জিরুদ।
ভবিষ্যদ্বাণী : শক্তির দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে ফ্রান্স। দারুণ সব খেলোয়াড় আছে প্রায় সব বিভাগেই। আছে ভালো বিকল্পও। কিন্তু সে অর্থে এখনও পারফর্ম করতে পারেনি দলটি। অন্যদিকে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে স্বস্তির জয়ে চাপ কাটিয়ে উঠেছে আর্জেন্টিনা। গোছানো ফুটবলও খেলতে পেরেছে দলটি। বিশেষকরে মেসি ফর্মে ফেরায় আত্মবিশ্বাসী দলটি। আর কে না জানে তার মতো খেলোয়াড় জ্বলে উঠলে যে কোন প্রতিপক্ষই পুড়ে ছারখার হয়ে যেতে পারে।
সম্ভাব্য স্কোর : আর্জেন্টিনা ২-১ ফ্রান্স
অতিরিক্ত সংযোজন :
১) এ নিয়ে ফ্রান্স এবং আর্জেন্টিনা ১২তম লড়াইয়ে মাঠে নামছে। এগিয়ে আছে ল্যাটিন আমেরিকার দলটিই। এর আগের ১১ লড়াইয়ে ছয়বার জিতেছে আর্জেন্টিনা। দুইবার ড্র। সবচেয়ে বড় কথা আটবার ক্লিনশিট রেখেছে আর্জেন্টাইনরা।
২) এর আগে বিশ্বকাপে দুইবার ফ্রান্সের মুখোমুখি হয়েছে আর্জেন্টিনা। আর দুইবারই জিতেছে তারা। এমনকি ওই দুই আসরে ফাইনালেও খেলেছে দলটি। ১৯৩০ সালে ১-০ এবং ১৯৭৮ সালে ২-১ গোলের জয় পায় আলবিসেলেস্তেরা। তবে নকআউট পর্বে এটাই প্রথম মোকাবেলা।
৩) ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনার কাছে হারার পর আর কোন ল্যাটিন আমেরিকার দলের বিপক্ষে হারেনি ফ্রান্স। ল্যাটিনদের বিপক্ষে পরের আটটি লড়াইয়ের চারটিতে জিতেছে তারা। বাকি চারটি ড্র।
৪) ১৯৮৬ সালের পর গ্রুপ পর্ব পার হতে পারলে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে হারেনি ফ্রান্স।
৫) পেনাল্টি শুট আউট ছাড়া নকআউট পর্বে শেষ ১১টি ম্যাচে মাত্র ১টি ম্যাচে হেরেছে ফ্রান্স।
৬) আর্জেন্টিনার মূল ভরসা লিওনেল মেসি বিশ্বকাপে কখনোই নকআউট পর্বে গোল দিতে পারেননি। ৬৬৬ মিনিট খেলেও শূন্য গোল।
৭) লিওনেল মেসি তৃতীয় আর্জেন্টাইন যিনি তিনটি ভিন্ন বিশ্বকাপে গোল দিয়েছেন। এর আগে এ কীর্তি আছে দিয়াগো ম্যারাডোনা (১৯৮২, ১৯৮৬, ১৯৯৪) ও গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার (১৯৯৪, ১৯৯৮, ২০০২)।
Comments