সংখ্যায় সংখ্যায় উরুগুয়ে-পর্তুগাল ম্যাচ

শক্তির বিচারে দুই দলই প্রায় সমান। তবে নিজেদের দিনে একাই প্রতিপক্ষকে হারিয়ে দেয়ার সামর্থ্য রাখেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো কিংবা লুইস সুয়ারেজ-এডিনসন কাভানিরা। সোচির ফিশট অলিম্পিক স্টেডিয়ামে আজ রাত বারোটায় মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। তবে তার আগে একবার দুই দলের পরিসংখ্যানগুলো দেখে নেয়া যাক।
উরুগুয়ে-পর্তুগাল ম্যাচ
অনুশীলনে পর্তুগাল। ছবি: রয়টার্স

শক্তির বিচারে দুই দলই প্রায় সমান। তবে নিজেদের দিনে একাই প্রতিপক্ষকে হারিয়ে দেয়ার সামর্থ্য রাখেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো কিংবা লুইস সুয়ারেজ-এডিনসন কাভানিরা। সোচির ফিশট অলিম্পিক স্টেডিয়ামে আজ রাত বারোটায় মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। তবে তার আগে একবার দুই দলের পরিসংখ্যানগুলো দেখে নেয়া যাক।

হেড টু হেড:

১) বিশ্বকাপে এই প্রথমবার মুখোমুখি হচ্ছে উরুগুয়ে ও পর্তুগাল, আর সব মিলিয়ে তৃতীয়বার।

২) ১৯৭২ সালের পর আর একে অন্যের মুখোমুখি হয়নি দল দুটি। ব্রাজিলের মারাকানার সেই ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করেছিল দুই দল।

৩) এখনও পর্যন্ত উরুগুয়ের কাছে হারের স্বাদ পায়নি পর্তুগাল। দুই ম্যাচে জিতেছে একটি, আর বাকিটি করেছে ড্র।

উরুগুয়ে:

১) শেষ ষোলো পর্ব প্রবর্তনের পর থেকে চারবার শেষ ষোলোতে উঠে তিনবারই বাদ পড়েছে উরুগুয়ে। ১৯৮৬, ১৯৯০ ও ২০১৪ এই তিন আসরেই শেষ ষোলো থেকে বাদ পড়তে হয়েছে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। কেবল ২০১০ আসরে দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে পরের পর্বে গিয়েছিল তাঁরা।

২) বিশ্বকাপে প্রথম চার ম্যাচেই জিতেছে উরুগুয়ে, এমনটা হয়েছে কেবল ১৯৩০ বিশ্বকাপে। আজ জিতলে ১৯৩০ বিশ্বকাপের সেই কীর্তি ছুঁয়ে ফেলবে উরুগুয়ে।

৩) এই বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত কোন গোল হজম করেনি উরুগুয়ে। তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলগুলো তাঁদের গোলমুখে শটই নিতে পেরেছে মাত্র ছয়বার। বিশ্বকাপে কোন লাতিন দল নিজেদের প্রথম চার ম্যাচে কোন গোল খায়নি, এমনটা শেষ ঘটেছিল ১৯৮৬ বিশ্বকাপে। সেবার নিজেদের প্রথম চার ম্যাচে নিজেদের জালে কোন গোল ঢুকতে দেয়নি ব্রাজিল।

৪) রাশিয়া বিশ্বকাপে যেই ৫ গোল করেছে উরুগুয়ে, সবকয়টিই সেট পিস থেকে (৩ টি কর্নার থেকে, ১ টি সরাসরি ফ্রিকিক থেকে ও আরেকটি ইনডিরেক্ট ফ্রি কিক থেকে)।

৫) বিশ্বকাপে উরুগুয়ের জার্সি গায়ে সাত গোল করেছেন লুইস সুয়ারেজ, দেশটির ইতিহাসে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আট গোল নিয়ে অস্কার মিগুয়েজ আছেন সবার উপরে। আজ এক গোল করতে পারলেই মিগুয়েজকে ছুঁয়ে ফেলবেন সুয়ারেজ।

পর্তুগাল:

১) পেনাল্টি শুট আউট বাদ দিলে মেজর টুর্নামেন্টগুলোতে নিজেদের শেষ ১৭ ম্যাচের কেবল একটিতেই হেরেছে পর্তুগাল (জিতেছে ৮ টি, ড্র করেছে ৮ টি)। একমাত্র হারটি গত বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে জার্মানির কাছে ৪-০ গোলে।

২) বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ তিন নকআউট ম্যাচের সবকয়টিতেই হেরেছে দলটি। এই তিন ম্যাচে গোল খেয়েছে পাঁচটি, আর করেছে মাত্র একটি।

৩) বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে ৪২৪ মিনিট খেলে এখনও কোন গোলের দেখা পাননি ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। তবে আজকের ম্যাচের ভেন্যু সোচির ফিশট স্টেডিয়ামেই স্পেনের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন রোনালদো।

৪) আজ মাঠে নামলেই একটি রেকর্ডে ভাগ বসাবেন রোনালদো। ইউরোপিয়ান খেলোয়াড়দের মধ্যে বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩৮ টি ম্যাচ খেলেছেন জার্মানির বাস্তিয়ান শোয়েইনস্টাইগার। আজ খেলতে নামলে সেই রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবেন এখনও পর্যন্ত ৩৭ ম্যাচ খেলা রোনালদো।

৫) কোচ হিসেবে এই নিয়ে টানা চতুর্থ মেজর টুর্নামেন্টে দল নিয়ে নকআউট পর্বে উঠেছেন  পর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। ২০১২ ইউরো ও ২০১৪ বিশ্বকাপের নকআউটে উঠেছেন গ্রীসকে নিয়ে, আর ২০১৬ ইউরো ও ২০১৮ বিশ্বকাপের নকআউটে উঠলেন পর্তুগালকে নিয়ে।

Comments