ব্রাজিল না মেক্সিকো, গোলরক্ষক এগিয়ে কাদের?
নকআউট পর্বে এসে প্রায়ই ম্যাচ জেতানো নায়কে পরিণত হন গোলকিপাররা। গতকালের দুটি ম্যাচেও পেনাল্টি ঠেকিয়ে নায়ক হয়ে গেছেন রাশিয়ার ইগর আকিনফেভ ও ক্রোয়েশিয়ার ড্যানিয়েল সোবাসিচ। আজ তাহলে নায়ক হবেন কে? ব্রাজিলের অ্যালিসন বেকার? নাকি মেক্সিকোর গিলের্মো ওচোয়া?
গত বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে মেক্সিকোর বিপক্ষে ম্যাচটি ভোলার কথা নয় ব্রাজিল সমর্থকদের। নেইমার-অস্কাররা গোটা ম্যাচ জুড়ে একের পর এক আক্রমণ করে গেছেন, আর সেগুলো সব প্রতিহত হয়ে ফিরেছে গিলের্মো ওচোয়ার গ্লাভসে। পুরো ম্যাচ জুড়েই অসাধারণ সব সেভ করেছিলেন, গোলকিপিং দক্ষতার কারণে প্রশংসিত হয়েছিলেন সকলের কাছেই।
সেই ওচোয়া আজ আরও একবার দাঁড়াবেন ব্রাজিলের সামনে। বেলজিয়ামের লীগে খেলা ওচোয়া গত মৌসুমে মোট ম্যাচ খেলেছেন ৩৮ টি। পুরো মৌসুমে ৩৮ ম্যাচ খেলে গোল খেয়েছেন মাত্র ৪৮ টি, অর্থাৎ ম্যাচপ্রতি গোল খেয়েছেন মাত্র ১.২৬ টি করে। ৩৮ ম্যাচের মধ্যে ক্লিন শীট রেখেছিলেন ৯ টি ম্যাচে। তাঁকে পরাস্ত করে গোল দেয়া যে খুব একটা সহজ হবে না, নিজের পারফরম্যান্স দিয়েই সেটির প্রমাণ রেখেছেন ওচোয়া।
কম যান না ব্রাজিল গোলকিপার অ্যালিসন বেকারও। আগামী মৌসুমে রিয়ালে যাওয়ার জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে অ্যালিসনের নামে। অ্যালিসনের গোলকিপিং দক্ষতায় সন্তুষ্ট হয়েই তাঁকে দলে পেতে চাইছে রিয়াল। গত মৌসুমে রোমার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের অন্যতম কান্ডারি ছিলেন এই অ্যালিসন। বার্সেলোনাকে হারিয়ে রোমাকে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেমিফাইনালে তুলতে বড় অবদান রেখেছিলেন তিনি। সিরি আ ও চ্যাম্পিয়ন্স লীগ মিলিয়ে গত মৌসুমে মোট ৪৯ টি ম্যাচ খেলেছেন অ্যালিসন, তাতে গোল হজম করেছেন মাত্র ৪৭ টি! অর্থাৎ ম্যাচপ্রতি গড়ে একটি গোলও খাননি তিনি। ৪৯ ম্যাচ খেলে নিজেদের জাল অক্ষত রেখেছেন ২২ টি ম্যাচেই! ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করা এডারসনকে বেঞ্চে রেখে তিতে কেন অ্যালসিনকে প্রথম পছন্দের কিপার বানিয়েছেন, সেটা তাঁর পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট।
নকআউট পর্বে প্রায়ই ফলাফল নিষ্পত্তি হয় টাইব্রেকারে গিয়ে, গোলকিপারের টাইব্রেকার অভিজ্ঞতা তাই খুবই জরুরী টুর্নামেন্টের এই পর্যায়ে। টাইব্রেকারে অভিজ্ঞতার দিক থেকে ওচোয়া এগিয়ে থাকলেও সফলতার হারের দিক থেকে আবার এগিয়ে আছেন অ্যালিসন।
ক্যারিয়ারে মোট ১৪ বার পেনাল্টির সামনে পড়েছেন অ্যালিসন, তাতে ঠেকাতে পেরেছেন মাত্র ৪ টি শট। সফলতার হার প্রায় ২৯%। অপরদিকে ওচোয়া ক্যারিয়ারে পেনাল্টির সামনে পড়েছেন মোট ৫৬ বার, তার মধ্যে ফিরিয়েছেন ১২ টি পেনাল্টি। সফলতার হার ২১%।
তবে ম্যাচের সময় এসব পরিসংখ্যান হয়ে ওঠে নিছকই সংখ্যা। মাথা ঠাণ্ডা রেখে নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবেন যিনি, শেষ হাসিও তিনিই হাসবেন।
Comments