জাপান ভয় পাইয়ে দিয়েছিল, বলছেন হ্যাজার্ড

বেলজিয়াম বনাম জাপান ম্যাচ
বেলজিয়ামের সেরা তারকা এডেন হ্যাজার্ড

গত ইউরোতেও বেলজিয়াম গিয়েছিল অন্যতম ফেভারিট হিসেবে। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে ওয়েলসের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয় তাদের। বেলজিয়াম অধিনায়ক এডেন হ্যাজার্ড বলেছেন, জাপান দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর আবারও বাদ পড়ার ভয় পেয়েছিলেন তিনি।

প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে সাত মিনিটের ব্যবধানে জেনকি হারাগুচি ও তাকাশি ইনুইয়ের দুই গোলে এগিয়ে যায় জাপান। শেষ পর্যন্ত অবশ্য দুর্দান্ত খেলেই ম্যাচ জিতে ফেরেছে বেলজিয়াম, তবে জাপান যে তাদের ভয় পাইয়ে দিয়েছিল সেটা অস্বীকার করেননি হ্যাজার্ড। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘সত্যি বলতে আমরা দুই বছর আগের ওয়েলস ম্যাচের কথা ভাবছিলাম তখন। কিন্তু আমরা এটাও ভাবছিলাম, আমরা গোল করে ম্যাচ জিতে নিতে পারি। আমাদের এমন খেলোয়াড় আছে যারা ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। শুধু একাদশের খেলোয়াড়েরাই না, আমাদের বেঞ্চের খেলোয়াড়দেরও ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়ার মতো ক্ষমতা আছে। ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে পেরে আমরা খুশি।’

যে দুটি গোল খেয়েছে তারা, সেগুলো এড়ানো যেত বলেও মনে করছেন হ্যাজার্ড, ‘প্রথমার্ধের ২০-২৫ মিনিট আমরা খুব ভালো খেলেছি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সব ওলট পালট হয়ে গেলো। ওই সময়ে যে দুটো গোল আমরা খেয়েছি, সেগুলো এড়ানো যেত। রক্ষণে কিছু ছোটখাটো ভুল করেছি আমরা। কিন্তু গোল খাওয়ার পর যেভাবে ফিরে এসেছি আমরা, তা এক কথায় দুর্দান্ত। হয়তো ভবিষ্যতের জন্য এমন একটা ম্যাচ আমাদের দরকার ছিল। আমরা বাদও পড়ে যেতে পারতাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছি। আমরা সবাই তাই খুশি।’

কোয়ার্টার ফাইনালে হ্যাজার্ডরা সামনে পাচ্ছেন ফেভারিট ব্রাজিলকে। ব্রাজিল ম্যাচ নিয়ে ভীষণ উত্তেজিত এই চেলসি প্লে মেকার, ‘সামনের ম্যাচটা দুর্দান্ত হতে চলেছে। ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলা সবসময়ই অসাধারণ অভিজ্ঞতা। আপাতত আমরা বিশ্রাম নেব, এবং পরের ম্যাচ জেতার জন্য প্রস্তুত হবো।’

আরও পড়ুন ঃ ‘রক্ষণ, আক্রমণে ব্রাজিল ভারসাম্যপূর্ণ দল’

আরও পড়ুন ঃ গ্যালারিতে নাৎসি ব্যানার: রাশিয়াকে জরিমানা করলো ফিফা

Comments

The Daily Star  | English

Workers' protest causes long tailback at Gazipur

Following the strike, heavy traffic congestion was seen on the Dhaka-Mymensingh, Dhaka-Kishoreganj, Dhaka-Tangail, and Dhaka-Sylhet highways

39m ago