ইংল্যান্ড বনাম কলম্বিয়া : ভবিষ্যদ্বাণী, একাদশ ও রেকর্ড
গ্রুপ পর্বের লড়াই শেষে নকআউট পর্বও শেষ দিকে। হারলেই বিদায়। সর্বোচ্চটা বাজি রেখেই খেলতে হবে দলগুলোকে। এদিন দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের মোকাবেলা করবে ল্যাটিন আমেরিকার দল কলম্বিয়া।
৫২ বছর আবারও একটি শিরোপায় বিভোর ইংলিশরা। ফাইনালে যাওয়ার পথটাও কঠিন নয়। বড় কোন দলের মুখোমুখি হতে হচ্ছে না তাদের। শক্তি, ইতিহাস সবকিছুতেই এগিয়ে তারা। কিন্তু নামে বড় না হলেও কলম্বিয়া শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। তাই জমজমাট একটি লড়াই দেখতে যাচ্ছে ফুটবল বিশ্ব।
ম্যাচের ফলাফল কি হবে তা জানা যাবে ম্যাচ শেষে, তবে তার আগেই ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে হাজির আমরা। পাশাপাশি দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ, কৌশলও তুলে ধরা হলো-
কখন ?
বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা, মঙ্গলবার, ৩ জুলাই
কোথায়?
লুঝনিকি স্টেডিয়াম, মস্কো
নজরে থাকবেন যারা
হ্যারি কেইন। বড় টুর্নামেন্টে অবশেষে নিজেকে প্রমাণ করলেন। মাত্র দুই ম্যাচ খেলেই গোল দিয়েছেন পাঁচটি। রয়েছে হ্যাটট্রিকও। গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে আছেন সবার আগে। তাকে ঘিরেই স্বপ্নের পরিধিটা লম্বা হচ্ছে ইংলিশদের।
নিঃসন্দেহে হামেস রদ্রিগেজকে মিস করবে কলম্বিয়া। তবে শেষ ম্যাচে দারুণ খেলেছেন অধিনায়ক রাদামেল ফ্যালকাও। ভালো খেলেছেন ইয়েরি মিনাও।
সম্ভাব্য একাদশ ও ম্যাচের কৌশল
ইংল্যান্ড : (৩-৫-২) পিকফোর্ড, ওয়াকার, স্টোনস, ম্যাগুইর, ট্রিপিয়ার, হেন্ডারসন, ডেলে আলি, লিংগার্ড, ইয়ং, স্টারলিং ও হ্যারি কেইন।
কলম্বিয়া : (৪-১-৪-১) ওসপিনা, অ্যারিয়াস, মিনা, দেভিনসন সানচেজ, মজিকা, কার্লোস সানচেজ, উরিবি, কুইনতেরো, কুয়াদ্রাদো, মুরিয়েল ও ফ্যালকাও।
ভবিষ্যদ্বাণী : শক্তির বিচারে খুব একটা পার্থক্য নেই দুই দলের। তবে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের বিচারে এগিয়ে ইংল্যান্ড। ইতিহাসও তাদের পক্ষেই কথা বলে। তবে প্রথম ম্যাচে আশানুরূপ না হলেও ধীরে ধীরে নিজেদের ফিরে পেয়েছে কলম্বিয়া। তাই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জয়ের পাল্লাটা ল্যাটিন দলের পক্ষেই।
সম্ভাব্য স্কোর : ইংল্যান্ড ১-২ কলম্বিয়া
আরও পড়ুন ঃ ‘রক্ষণ, আক্রমণে ব্রাজিল ভারসাম্যপূর্ণ দল’
অতিরিক্ত সংযোজন :
১) কলম্বিয়ার বিপক্ষে এর আগের পাঁচ লড়াইয়ে অপরাজিত রয়েছে ইংল্যান্ড (জয় ৩, ড্র ২)। শেষ লড়াইটি হয় ২০০৫ সালের মে’তে। সেবার মাইকেল ওয়েনের হ্যাটট্রিকে ৩-২ গোলে জেতে দলটি।
২) বিশ্বকাপে একবারই মোকাবেলা করেছেন দল দু’টি। ১৯৯৮ সালে গ্রুপ পর্বে ডেভিড ব্যাকহাম ও ড্যারেন অ্যান্ডারসনের গোলে ২-০ গোলে জয় পায় ইংলিশরা।
৩) কলম্বিয়া এ নিয়ে তিনবার শেষ ষোলোতে খেলার সুযোগ পেয়েছে (১৯৯০, ২০১৪, ২০১৮)।
৪) চলতি বিশ্বকাপে কলম্বিয়ার দেওয়া পাঁচটি গোলের তিনটি এসেছে সেট পিস (দুইটি কর্নার ও একটি ফ্রি কিক) থেকে।
৫) নকআউট পর্বে শেষ আটটি লড়াইয়ে মাত্র দুইটিতে জিতেছে ইংল্যান্ড। ২০০২ সালে ডেনমার্ক এবং ২০০৬ সালে ইকুয়েডরের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল তারা।
৬) ১৯৬৬ বিশ্বকাপের ফাইনাল থেকে ইংল্যান্ডের ৫০ শতাংশ ম্যাচ (১৪টার মধ্যে ৭টা) অতিরিক্ত সময়ে গড়িয়েছে।
আরও পড়ুন ঃ গ্যালারিতে নাৎসি ব্যানার: রাশিয়াকে জরিমানা করলো ফিফা
Comments