এখন কি করবেন এই আর্জেন্টাইন সমর্থকরা?

দলতো বিদায় নিয়েছে গত শনিবারই। দেশেও ফিরে গিয়েছে। কিন্তু রয়ে গেছেন আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। দল ফাইনালে উঠবে ভেবে অনেকে আবার ফাইনালের টিকেটও কেটে রেখেছেন। অনেকে সেমি কিংবা কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট। কিন্তু খেলার দেখার মতো মানসিক শক্তিটাই যে নেই তাদের। কি করবেন তারা?

দলতো বিদায় নিয়েছে গত শনিবারই। দেশেও ফিরে গিয়েছে। কিন্তু রয়ে গেছেন আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। দল ফাইনালে উঠবে ভেবে অনেকে আবার ফাইনালের টিকেটও কেটে রেখেছেন। অনেকে সেমি কিংবা কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট। কিন্তু খেলার দেখার মতো মানসিক শক্তিটাই যে নেই তাদের। কি করবেন তারা?

গত বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিল আর্জেন্টিনা। এ কারণেই হয়তো মেসিরা খোদ নিজেদের দল নিয়ে বেশি প্রত্যাশা না করলেও করেছিলেন সমর্থকরা। ৪৪ হাজার ৮৮২ জন আর্জেন্টাইন চলতি বিশ্বকাপের জন্য টিকেট কিনেছিলেন। রাশিয়ায় পা রেখেছিলেন ৪০ হাজারের বেশি সমর্থক। কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ডেই শেষ হয় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ। ফ্রান্সের কাছে ৩-৪ গোলের ব্যবধানে হেরে এখন মেসি-আগুয়েরোরাই দর্শক।

অনেক আর্জেন্টাইন সমর্থক দেশের বিমান ধরেছেন। তবে রাশিয়াতেও আছেন সে সংখ্যাও কম নয়। অনেকে রাশিয়া ঘুরে দেখছেন। কেউবা দেখছেন ম্যাচও। আকাশী সাদা জার্সি গায়েও ঘুরছেন অনেকে। তাদেরই একজন এনরিক মায়ল। কাজান অ্যারেনায় হাঁটতে হাঁটতে গাইছিলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব রাশিয়া’।

জানতে চাওয়া হয় তার প্রতিক্রিয়া। দলতো হেরে গেছে পরবর্তী পরিকল্পনা কি? মায়লের উত্তর, ‘এটা খুবই কঠিন। আর্জেন্টিনায় আমরা ফুটবলের জন্য পাগল। এতো দ্রুত হেরে যাওয়াটা অনেক কষ্টের। বিশেষ করে এখানে থাকার পর আপনার পরিকল্পনা যখন বদলাতে হয়।’

‘আমরা নিঝনিতে কোয়ার্টার ফাইনালের দেখার কথা ভাবছিলাম। আমাদের টিকেট পরিবর্তন করতে হতো কারণ আমরা অন্য ম্যাচের টিকেট কিনেছিলাম। তবে এখন এটাই দেখবো। এ ধরনের টুর্নামেন্ট চার বছর পর একবার আসে। আমি ফুটবল দেখা চালিয়ে যাব।’

তবে আর্জেন্টিনা না পারলেও তাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ব্রাজিল বিশ্বকাপে ভালোভাবেই টিকে আছে। আছে উরুগুয়েও। প্রতিবেশীদের ম্যাচ দেখার কতটা আগ্রহ আছে আর্জেন্টাইনদের? মায়লের ভাষায়, ‘আমরা আর্জেন্টাইনরা একটু ভিন্ন। আমরা শুধু মাত্র আর্জেন্টিনার সমর্থন করি। আমরা আর্জেন্টিনার জন্যই চলাচল করি। আর্জেন্টিনার ফুটবলই আমাদের রক্তে মিশে আছে।’

বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা তারকা লিওনেল মেসির বিদায়টাকে খুব বেশি কষ্টের মনে করছেন মায়ল, ‘এটা কষ্টদায়ক! এটা কষ্টদায়ক! এটা কষ্টদায়ক! কারণ আমাদের প্রত্যাশা ছিল ফাইনাল। আমাদের দলে পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা খেলোয়াড়টা ছিল। তাই আমরা সবসময় নিজেদের পক্ষে বাজি ধরেছিলাম। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে এবার আমাদের দলটি ভারসাম্যপূর্ণ ছিল না।’

এদিকে রাশিয়া ছাড়ার আগে নিজেদের টিকেট বিক্রি করতে চাইছে অনেক আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। তাদেরই একজন আগের দিন ধরাও পড়েন। এদলফো রাউল জুরব্রিগেন নামক এক আর্জেন্টাইন দুটি টিকেট বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়েন পুলিশের হাতে। পড়ে প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ রুবল জরিমানা দিতে হয় তাকে।

Comments

The Daily Star  | English

A loud scream, followed by complete silence

The teep was still visible on Labib's head. His innocent life was lost over a trivial matter

1h ago