বন্ধু হ্যাজার্ডকে বিদায় করতে চান উইলিয়ান
ইংলিশ ক্লাব চেলসিতে দুজনে একসাথে খেলছেন পাঁচ বছর ধরে। এডেন হ্যাজার্ড ও উইলিয়ানের মধ্যে বন্ধুত্বটা তাই বেশ গাঢ়ই। দুই বন্ধু এবার মুখোমুখি হচ্ছেন বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে, দেশের জার্সি গায়ে। হাই ভোল্টেজ এই ম্যাচের আগে তাই বন্ধুত্ব এক পাশে সরিয়ে রেখে ম্যাচেই মনোযোগ দিচ্ছেন উইলিয়ান।
এমনিতে ব্রাজিল একাদশে প্রথম পছন্দে ছিলেন উইলিয়ানই। কিন্তু গ্রুপ পর্বে তার পারফরম্যান্স ছিল বিবর্ণ, ওদিকে বদলি নেমে দারুণ গতিতে নজর কেড়েছিলেন ডগলাস কস্তা। কিন্তু কস্তা চোটে পড়ায় মেক্সিকোর বিপক্ষেই অবধারিত হয়ে যায় উইলিয়ানের খেলা। আর তাতেই করেছেন বাজিমাত। পুরো মাঠ জুড়ে গতি আর পায়ের ছন্দ দেখিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন ঃ ম্যারাডোনার বক্তব্যকে তিরস্কার ফিফার
বেলজিয়ামের বিপক্ষেও উইলিয়ানই যে নামবেন তা অনেকটাই নিশ্চিত। এতে করে মুখোমুখি হতে হবে চেলসি সতীর্থ হ্যাজার্ডের, যিনি কি না বেলজিয়ামের অধিনায়কও। তবে এই এক ম্যাচের জন্য বন্ধুত্ব দূরে সরিয়ে রাখতে চান উইলিয়ান, ‘হ্যাজার্ড খুবই ভদ্র একজন খেলোয়াড়। ক্লাব পর্যায়ে প্রতিদিন তার সাথে খেলতে পছন্দ করি আমি। তবে এখন আমাদের দুজনকেই দেশের দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমি আশা করছি দিনশেষে আমিই জিতে ফিরবো। সে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের একজন, কিন্তু এখন আমি তার প্রতিপক্ষ, এবং আমি জেতার জন্য সবকিছুই করতে চাই।’
তবে এই এক ম্যাচ যে তাদের বন্ধুত্বে কোন প্রভাব ফেলবে না, সেটিও জানিয়েছেন উইলিয়ান। ম্যাচের ফলাফল যাই হোক, তাদের বন্ধুত্ব অটুট থাকবে এমনটাই বিশ্বাস উইলিয়ানের, ‘আমি জানি, এই ম্যাচের পরেও আমরা বরাবরের মতো বন্ধুই থাকব।’
প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের সাথে ড্র করলেও এরপর থেকেই ছন্দে আছে ব্রাজিল, তিন ম্যাচে গোল হজম করেনি একটিও। উইলিয়ানের দাবি, বাছাইপর্বে যেরকম ছন্দে ছিল ব্রাজিল, এখন ঠিক ওইরকম ছন্দই ফিরে এসেছে ব্রাজিল দলে, ‘প্রথম ম্যাচের পর দল বদলে গেছে। প্রথম ম্যাচে আমরা কিছুটা স্নায়ুচাপে ভুগেছিলাম, তবে এরপর থেকে আমরা ধাপে ধাপে এগিয়েছি। আমার মনে হয় বাছাইপর্বে আমরা যেরকম ছন্দে ছিলাম, এখন ঠিক সেই ছন্দেই ফিরে এসেছি।’
আগামীকাল রাত বারোটায় দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে হ্যাজার্ডের বেলজিয়ামের মুখোমুখি হচ্ছে উইলিয়ানের ব্রাজিল।
আরও পড়ুন ঃ ‘পত্রিকাগুলো ফাঁকা জায়গা ভরতে নেইমারের পিছু নিয়েছে’
Comments