উরুগুয়ে বনাম ফ্রান্স : ভবিষ্যদ্বাণী, একাদশ ও রেকর্ড
শেষ ষোলোর লড়াই শেষে এবার শুরু সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াই। দিনের প্রথম ম্যাচে লড়বে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে ও ১৯৯৮ এর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। দুই দলই নিজেদের শেষ ম্যাচে দারুণ গোছানো ফুটবল খেলেছে। তাই জমজমাট একটি লড়াই প্রত্যাশা ফুটবল প্রেমীদের।
ম্যাচের ফলাফল কি হবে তা জানা যাবে ম্যাচ শেষে, তবে তার আগেই ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে হাজির আমরা। পাশাপাশি দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ, কৌশলও তুলে ধরা হলো-
কখন?
বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা, শুক্রবার, ৬ জুলাই।
কোথায়?
নিঝনি নোভগোরোদ স্টেডিয়াম, নিঝনি নোভগোরোদ।
নজরে থাকবেন যারা
দারুণ ছন্দে রয়েছেন এডিসন কাভানি। তার জোড়া গোলেই শেষ আটের টিকেট পেয়েছে উরুগুয়ে। তবে ইনজুরির কারণে এ ম্যাচে খেলবেন কি না নিশ্চিত নয়। আক্রমণভাগের প্রধান ভরসা তাই লুইস সুয়ারেজ। আসরের শুরুতে নিষ্প্রভ থাকলেও ধীরে ধীরে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন। এছাড়াও অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ ডিফেন্ডার দিয়েগো গোডিনও থাকছেন নজরে।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা পল পগবা দলের প্রাণ ভোমরা। ফ্রান্সের মধ্য মাঠের কারিগর তিনিই। তবে কিলিয়ান এমবাপের দিকেই থাকবে বাড়তি নজর। আর্জেন্টিনাকে প্রায় একাই ছিটকে দিয়েছেন বিশ্বকাপ থেকে। সর্বকনিষ্ঠ ফরাসী হিসেবে বিশ্বকাপে গোল দেওয়ার রেকর্ডটিও করেছেন। এছাড়া অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের আঁতোয়া গ্রিজম্যান, ওসমান ডেম্বেলের দিকেও থাকবে বাড়তি নজর।
সম্ভাব্য একাদশ ও ম্যাচের কৌশল
উরুগুয়ে : (৪-৩-১-২) মুসলেরা, লাক্সালত, গোডিন, গিমেনেজ, ক্যাসেরাস, নানডেজ, ভেসিনো, টোরেইরা, বেনটানকার, স্তুয়ানি ও সুয়ারেজ।
ফ্রান্স : (৪-২-৩-১) লরিস, পাভার্দ, ভারানে, উমতিতি, হের্নান্দেজ, কান্তে, পগবা, এমবাপে, গ্রিজম্যান, লিমার ও জিরুদ।
ভবিষ্যদ্বাণী : শক্তির বিচারে অনেক এগিয়ে ফ্রান্স। তবে শেষ ম্যাচ ছাড়া সামর্থ্য অনুযায়ী এখনও খেলতে পারেনি দলটি। ফরোয়ার্ডরা লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ। শেষ ম্যাচে পারলেও তাতে আর্জেন্টিনার দুর্বল রক্ষণের দায়টাই ছিল বেশি। দুশ্চিন্তাটা তাই থাকছেই তাদের। অপরদিকে দারুণ জমাট ডিফেন্স উরুগুয়ের। আক্রমণভাগও জ্বলে উঠেছে। শেষ দুই ম্যাচে তো অপ্রতিরোধ্য। তাই কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকছে ল্যাটিন আমেরিকার দলটি।
সম্ভাব্য স্কোর : উরুগুয়ে ২-১ ফ্রান্স।
অতিরিক্ত সংযোজন :
১) বিশ্বকাপে এ নিয়ে চতুর্থবার মোকাবেলা করছে দলদু'টি। তবে নকআউট পর্বে এবারই প্রথম। এর আগে ২০০২ ও ২০১০ সালের দুই লড়াই-ই গোলশূন্য ভাবে শেষ হয়। ১৯৬৬ সালে উরুগুয়ে ২-১ গোলে হারিয়েছিল ফ্রান্সকে।
২) ২০১৩ এর জুনে এ দুই দলের শেষ লড়াইয়ে উরুগুয়ে জিতেছিল ১-০ গোলে।
৩) উরুগুয়ের বিপক্ষে একটি মাত্র জিতেছে ফ্রান্স। ১৯৮৫ সালে ২-০ গোলে জিতেছিল দলটি।
৪) বিশ্বকাপে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার টানা চারটি ম্যাচ জিতেছে উরুগুয়ে। এর আগে ১৯৩০ সালে টানা চারটি ম্যাচ জিতেছিল তারা। আর তাতেই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় দলটি।
৫) এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো সেমিফাইনালে ওঠার হাতছানি উরুগুয়ের। শেষ তিন আসরে দ্বিতীয়বার।
৬) বিশ্বকাপে ল্যাটিন আমেরিকান প্রতিপক্ষের সঙ্গে শেষ নয়টি ম্যাচে অপরাজিত ফ্রান্স (জয় ৫, ড্র ৪)। এর মধ্যে সাত ম্যাচে তারা কোন গোল হজম করেনি।
Comments