ব্রাজিল বনাম বেলজিয়াম : ভবিষ্যদ্বাণী, একাদশ ও রেকর্ড
শেষ ষোলোর লড়াই শেষে এবার শুরু সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াই। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে লড়বে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল ও তারকাখচিত দল বেলজিয়াম। দুই দলই দুর্দান্ত ফুটবল খেলছে পুরো আসর জুড়েই। তাই জমজমাট একটি লড়াই প্রত্যাশা ফুটবল প্রেমীদের।
ম্যাচের ফলাফল কি হবে তা জানা যাবে ম্যাচ শেষে, তবে তার আগেই ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে হাজির আমরা। পাশাপাশি দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ, কৌশলও তুলে ধরা হলো-
কখন?
বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা, শুক্রবার, ৬ জুলাই।
কোথায়?
কাজান অ্যারেনা, কাজান
নজরে থাকবেন যারা
দলের মূল শক্তি নেইমার। আসরের শুরুটা ভালো না হলেও শেষ দুই ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছেন তিনি। আর শুরু থেকেই নজর কেড়ে নিয়েছেন বার্সেলোনা তারকা ফিলিপ কৌতিনহো। দূরপাল্লার আচমকা শটে প্রতিপক্ষকে ভরকে তো দিচ্ছেনই গোল আদায় করে নিয়েছেন। আর গোল না পেলেও শেষ ম্যাচে দারুণ খেলেছেন গ্যাব্রিয়েল জেসুসও।
দারুণ ছন্দে থাকা রোমেলু লুকাকুই গড়ে দিতে পারেন ম্যাচের পার্থক্য। ৪টি গোল দিয়ে আছেন গোল্ডেন বুটের প্রতিযোগিতায়। তবে কেভিন ডি ব্রুইন দলের সবচেয়ে বড় তারকা। মধ্য মাঠের মধ্যমণি। চলতি মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটির রেকর্ড লিগ শিরোপা জয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। আছেন এডেন হ্যাজার্ডের মতো খেলোয়াড়। অনেকেই তাকে মেসি-রোনালদোর সম পর্যায়ের খেলোয়াড় বলেই দাবি করে থাকেন।
সম্ভাব্য একাদশ ও ম্যাচের কৌশল
ব্রাজিল : (৪-৩-৩) অ্যালিসন, ফাগনার, সিলভা, মিরান্দা, মার্সেলো, ফের্নানদিনহো, পৌলিনহো, উইলিয়ান, কৌতিনহো, নেইমার ও ফিরমিনো।
বেলজিয়াম : (৩-৪-৩) কর্তোয়া, অ্যালডারউইয়ারল্ড, কম্পানি, ভেরটনঘেন, মিউনিয়ার, ডি ব্রুইন, উইসেল, কারাসকো, মার্টিনস, লুকাকু ও হ্যাজার্ড।
ভবিষ্যদ্বাণী : শক্তির বিচারে পার্থক্যটা খুবই কম। নির্দিষ্ট কাউকে এগিয়ে রাখা কঠিন। তবে ব্রাজিল এগিয়ে থাকবে তাদের ঐতিহ্যের কারণে। অভিজ্ঞতার কারণে। বড় ম্যাচে চাপ সামলানোর কৌশলটা ভালো করেই জানা আছে তাদের। তবে খুব যে পিছিয়ে থাকবে বেলজিয়াম তাও নয়। তাই লড়াইটা হবে বেশ হাড্ডাহাড্ডিই।
সম্ভাব্য স্কোর : ব্রাজিল ২-১ বেলজিয়াম
অতিরিক্ত সংযোজন :
১) দুই দলের এটা পঞ্চম মোকাবেলা। ১৯৬৩ সালে প্রথম মোকাবেলা বেলজিয়াম জিতেছিল ৫-১ গোলে। তবে এ পরের তিনটি ম্যাচেই জয় পেয়েছে ব্রাজিল।
২) বিশ্বকাপে একবারই মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। ২০০২ সালে শেষ ষোলোর ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছিল ব্রাজিল।
৩) এ নিয়ে ব্রাজিল টানা সপ্তমবার কোয়ার্টার ফাইনালে খেলছে। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের দৌড় থেমেছে মাত্র দুইবার। ২০০৬ সালে ফ্রান্সের বিপক্ষে এবং ২০১০ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হেরে শেষ আট থেকে বিদায় নেয় সেলেকাওরা।
৪) বিশ্বকাপে ব্রাজিলের শেষ ছয়টি পরাজয় এসেছে ইউরোপিয়ান প্রতিপক্ষের সঙ্গেই।
৫) শেষ ১৫টি ম্যাচে অপরাজিত রয়েছে ব্রাজিল (জয় ১১, ড্র ৪)। আর তাতে মাত্র তিনটি গোল হজম করেছে দলটি।
৬) কোচ তিতের অধীনে ২৫ ম্যাচের ২০টিতেই জয় পেয়েছে ব্রাজিল। হার মাত্র একটি। এর মধ্যে ১৯ ম্যাচে কোন গোলই খায়নি তারা।
৭) নকআউট পর্বে বেলজিয়ামের শেষ দুটি বিদায় ছিল ল্যাটিন আমেরিকার দলের বিপক্ষেই। ২০০২ সালে ব্রাজিল এবং ২০১৪ সালে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল তারা।
৮) শেষ ২৩টি ম্যাচে অপরাজিত বেলজিয়াম (জয় ১৮, ড্র ৫)।
Comments