অ্যালিসন না কোর্তোয়া, সেরা কে?
ইউরোপের অন্যতম সেরা গোলকিপার দুজন। নিয়মিত পারফরম্যান্স দিয়ে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন অনেকবার। অ্যালিসন বেকার আর থিবো কোর্তোয়া, কোন গোলকিপার আজ হবেন দলের রক্ষাকর্তা?
গত মৌসুমে রোমার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের অন্যতম কান্ডারি ছিলেন এই অ্যালিসন। বার্সেলোনাকে হারিয়ে রোমাকে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেমিফাইনালে তুলতে বড় অবদান রেখেছিলেন তিনি। সিরি আ ও চ্যাম্পিয়ন্স লীগ মিলিয়ে গত মৌসুমে মোট ৪৯ টি ম্যাচ খেলেছেন অ্যালিসন, তাতে গোল হজম করেছেন মাত্র ৪৭ টি! অর্থাৎ ম্যাচপ্রতি গড়ে একটি গোলও খাননি তিনি। ৪৯ ম্যাচ খেলে নিজেদের জাল অক্ষত রেখেছেন ২২ টি ম্যাচেই! ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করা এডারসনকে বেঞ্চে রেখে তিতে কেন অ্যালসিনকে প্রথম পছন্দের কিপার বানিয়েছেন, সেটা তাঁর পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট।
এই বিশ্বকাপেও ‘বেকার’ সময়ই কাটাতে হচ্ছে অ্যালিসনকে। প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের কাছে গোল খাওয়ার পর তিন ম্যাচে জাল অক্ষত রেখেছেন তিনি। কেবল উরুগুয়ের ফার্নান্দো মুসলেরাই এই বিশ্বকাপে ৩ টি ক্লিন শীট রাখতে পেরেছেন।
জাপানের বিপক্ষে দুই গোল হজম করলেও থিবো কোর্তোয়ার দক্ষতা সম্পর্কে প্রশ্ন থাকার কথা নয় কারোরই। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের অন্যতম সেরা গোলকিপার তিনি, আস্থার সাথে বেলজিয়ামের গোলবার সামলাচ্ছেন অনেক দিন ধরেই। নেইমার-কৌতিনহোদের আক্রমণ ঠেকানোর চ্যালেঞ্জ সামলানোর জন্য কোর্তোয়াকে তাই উপযুক্তই বলা যায়।
গত মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৬ টি ম্যাচ খেলেছেন কোর্তোয়া। তাতে গোল খেয়েছেন ৪৭ টি, আর ক্লিন শীট রাখতে পেরেছেন ১৯ টি ম্যাচে। অ্যালিসনের সাথে কোর্তোয়ার ব্যবধান কতটা কম, সেটা এই পরিসংখ্যানেই অনেকটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
পেনাল্টি ঠেকানোর দিক থেকে অবশ্য কোর্তোয়ার চেয়ে বেশ এগিয়ে আছেন অ্যালিসন। ক্যারিয়ারে মোট ১৪ বার পেনাল্টির সামনে দাঁড়িয়ে অ্যালিসন ঠেকাতে পেরেছেন ৪ টি শট, সফলতার হার ২৯%। আর ৩১ বার পেনাল্টির সম্মুখীন হয়ে কোর্তোয়া সফল হয়েছেন ৫ বার, সফলতার হার ১৬%।
আজ যদি খেলা টাইব্রেকারে গড়ায়, সেক্ষেত্রে মানসিকভাবে তাই একটু হলেও এগিয়ে থাকবেন ব্রাজিলীয় কিপার অ্যালিসন বেকার।
Comments