উরুগুয়েকে হারিয়ে শেষ চারে ফ্রান্স

ম্যাচে সমান তালেই লড়াই করেছে উরুগুয়ে। পার্থক্য ছিল দুই গোলরক্ষকের। দুর্দান্ত কিছু সেভ করেছেন ফরাসী গোলরক্ষক হুগো লরিস। অপরদিকে সহজ মিসে দলকে বড় চাপে ফেলেন উরুগুয়ের গোলরক্ষক ফার্নান্দো মুসলেরা। ফলে ০-২ গোলে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল দুইবারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে। আর তাতে ষষ্ঠবারের মতো সেমিফাইনালের টিকেট কাটল ১৯৯৮ এর বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

ম্যাচে সমান তালেই লড়াই করেছে উরুগুয়ে। পার্থক্য ছিল দুই গোলরক্ষকের। দুর্দান্ত কিছু সেভ করেছেন ফরাসী গোলরক্ষক হুগো লরিস। অপরদিকে সহজ মিসে দলকে বড় চাপে ফেলেন উরুগুয়ের গোলরক্ষক ফার্নান্দো মুসলেরা। ফলে ০-২ গোলে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল দুইবারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে। আর তাতে ষষ্ঠবারের মতো সেমিফাইনালের টিকেট কাটল ১৯৯৮'এর বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

নিঝনি নোভগোরোদ স্টেডিয়ামে এদিন শুরু থেকেই আক্রমণ প্রতি আক্রমণে খেলতে থাকে দুই দল। ম্যাচের ১৩ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো উরুগুয়ে। তবে দারুণ এক সেভ করে দলকে রক্ষা করেন ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লরিস। হোসে গোমেনেজের হেড দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে তিনি। পরের মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো ফ্রান্সও। বার পোস্টের কাছে একবারে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে হেড দেওয়ার সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন কিলিয়ান এমবাপে।

৩৫ মিনিটে মার্টিন ক্যাসেরেসের ক্রস দারুণ ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে বারে শট নিয়েছিলেন মাতিয়াস ভেসিনো। তবে তার দুর্বল শট ধরতে কোন অসুবিধা হয়নি লরিসের। ৪০ মিনিটেই কাঙ্ক্ষিত গোল পায় ফ্রান্স। আতোঁয়া গ্রিজম্যানের ফ্রি কিকে রাফায়েল ভারানে হেড দিয়ে শুধু দিক বলদে লক্ষ্যে রাখেন। দ্বিতীয় বার ঘেঁষে বল জালে গেলে উল্লাসে মাতে ফরাসীরা। পরের মিনিটে নাহিতান নানদেজের দূরপাল্লার শট সহজেই ধরেন ফরাসী গোলরক্ষক।

৪৩ মিনিটে অবিশ্বাস্য এক সেভ করেন লরিস। কর্নার থেকে দারুণ এক হেড নিয়েছিলেন কাসেরেস। তার চেয়েও দারুণ ভাবে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দেন ফরাসী গোলরক্ষক। ফিরতি বলে ফাঁকায় পেয়েছিলেন অধিনায়ক দিয়াগো গডিন। কিন্তু লক্ষ্যে রাখতে না পাড়ায় হতাশা বারে উরুগুয়ের। এরপর আর গোল না হলে এক গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় তারা।

গোল শোধ করতে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধারা বাড়ায় উরুগুয়ে। তবে ৪৭ মিনিটে দলকে প্রায় বিপদে ফেলে দিয়েছিলেন উরুগুয়ের গোলরক্ষক মুসলেরা। শট নিতে গিয়ে দেরি করায় পেয়ে গিয়েছিলেন গ্রিজম্যান। তবে তার পায়ে লেগে অল্পের জন্য বারের বাইরে দিয়ে গেলে রক্ষা পায় দলটি। তবে ৬১ মিনিটে দলকে বিপদে ফেলেই দেন মুসলেরা। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে গ্রিজম্যানের শট ফেরাতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে ফেলেন তিনি।

দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি উরুগুয়ে। উল্টো মাঠে উত্তেজনা বাড়ে। ৬৭ মিনিটে একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে প্রায় হাতাহাতিতে লিপ্ত হয় দলদু’টি। পাঁচ মিনিট পর ডি বক্সের বাইরে থেকে কিছুটা ফাঁকায় বল পেলেও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি কোরেনতিন তোলিসো। শেষ দিকে গোল শোধের জন্য মরিয়া হয়ে খেললেও ফ্রান্সের রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় বলকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি উরুগুয়ে। ফলে ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago