ইংল্যান্ড বনাম সুইডেন: ভবিষ্যদ্বাণী, একাদশ ও রেকর্ড
![England vs Sweden match prediction. England vs Sweden match prediction.](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/match-prediction_35.jpg?itok=3sVx98i5×tamp=1530947661)
শেষ ষোলোর লড়াই শেষে এবার সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াই। দিনের প্রথম ম্যাচে লড়বে ১৯৯৬ সালের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের ও ১৯৫৮ সালের ফাইনালিস্ট সুইডেন। আসরের শুরু থেকেই দারুণ গোছানো ফুটবল খেলছে ইংলিশরা। আর শুরুটা খারাপ হলেও ধীরে ধীরে নিজেদের ফিরে পেয়েছে সুইডিশরাও। তাই জমজমাট একটি লড়াই প্রত্যাশা ফুটবল প্রেমীদের।
ম্যাচের ফলাফল কি হবে তা জানা যাবে ম্যাচ শেষে, তবে তার আগেই ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে হাজির আমরা। পাশাপাশি দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ, কৌশলও তুলে ধরা হলো-
কখন?
বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা, শনিবার, ৭ জুলাই।
কোথায়?
সামারা অ্যারেনা, সামারা
নজরে থাকবেন যারা
হ্যারি কেইন। বড় টুর্নামেন্টে অবশেষে নিজেকে প্রমাণ করলেন। চলতি আসরের সেরা গোলদাতা তিনি। তিন ম্যাচ খেলেই গোল দিয়েছেন ছয়টি। রয়েছে হ্যাটট্রিকও। গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে আছেন সবার আগে। তাকে ঘিরেই স্বপ্নের পরিধিটা লম্বা হচ্ছে ইংলিশদের।
মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারেন তরুণ সুইডিশ উইঙ্গার এমিল ফোর্সবার্গ। জার্মান ক্লাব আরবি লেইপজিগের রূপকথার মতো উত্থানের পেছনে বড় ভূমিকা ছিল তার। চলতি আসরে দারুণ খেলা ওলা টোইভোনেন গড়ে দিতে পারেন ম্যাচের পার্থক্য।
সম্ভাব্য একাদশ ও ম্যাচের কৌশল
ইংল্যান্ড : (৩-৫-২) পিকফোর্ড, ওয়াকার, স্টোনস, ম্যাগুইর, ট্রিপিয়ার, হেন্ডারসন, ডিয়ের, লিংগার্ড, ইয়ং, স্টারলিং ও হ্যারি কেইন।
সুইডেন : (৪-৪-২) ওলসেন, এম ওলসন, লিন্ডেলফ, গ্রাঙ্কভিস্ট, অগাস্টিনসন, ক্লাসেন, এসভেনসন, একদাল, ফোর্সবার্গ, মার্কাস বার্গ ও টোইভোনেন।
ভবিষ্যদ্বাণী : শক্তির বিচারে এগিয়ে ইংল্যান্ড। ঐতিহ্যের বিচারেও। তবে অনেক দিন থেকেই দেশটির ফুটবল সাফল্য বলতে গেলেই নেই-ই। তাই অভিজ্ঞতায় প্রায় সমানই দুই দল। আর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বরাবরই চোখে চোখ রেখেই লড়াই করে সুইডেন। তাই বেশ হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ হতে পারে।
সম্ভাব্য স্কোর : ইংল্যান্ড ২-১ সুইডেন
অতিরিক্ত সংযোজন :
১) এ নিয়ে ২৫তম লড়াইয়ে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। বিশ্বকাপে তৃতীয়বার। এর আগের ২৪ বারে ইংল্যান্ড জিতেছে আটবার, সুইডেন সাতবার আর বাকি নয়টি ড্র।
২) বিশ্বকাপের আগের দুইটি লড়াই-ই ড্র হয়েছে। ২০০২ সালে ১-১ গোলে এবং ২০০৬ সালে ২-২ গোলে ড্র হয়। কোন ম্যাচেই সুইডেন এগিয়ে থাকতে পারেনি। গোল হজম করে পরে ফিরে আসে তারা।
৩) তবে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে জয়ের পাল্লাটা ভারি সুইডেনের পক্ষেই। সাত লড়াইয়ে দুইবার জিতেছে তারা। একবার ইংল্যান্ড বাকি চারটি ড্র।
৪) দুই দলের শেষ লড়াইয়ে জয় পেয়েছিল সুইডেন। ৪-২ গোলের সে জয়ে সুইডেনের হয়ে চারটি গোলই করেছিলেন ইব্রাহিমভিচ।
৫) ১৯৯৪ সালের পর এবারই প্রথম সেমিফাইনালে ওঠার হাতছানি সুইডেনের।
৬) কোয়ার্টার ফাইনালে এর আগে চারবার উঠেছিল সুইডেন। তাতে তিনবারই (১৯৩৮, ১৯৫৮ ও ১৯৯৪) সেমিফাইনাল খেলে দলটি। ১৯৩৪ সালে জার্মানির কাছে হেরে গিয়েছিল তারা।
৭) সুইডেন এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে করেছে ছয় গোল। আর ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন একাই করেছেন তাদের সমান।
৮) এটা ইংল্যান্ডের নবম কোয়ার্টার ফাইনাল। এর আগের আটটিতে মাত্র দুইবার (১৯৬৬ ও ১৯৯০ ) শেষ চারে পা রাখতে পেরেছিল ইংলিশরা।
আরও পড়ুন ঃ ‘এমন বিদায় মেনে নেয়া ২০১৪ এর চেয়েও কষ্টের’
Comments