রাকিতিচের স্নায়ু চাপ সামলানোর কৌশল
টানা দুটি টাই-ব্রেকারের ভাগ্য পরীক্ষায় জিতে সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়া। আর দুইবারই শেষ শটটি নিয়েছিলেন মিডফিল্ডার ইভান রাকিতিচ। প্রচণ্ড স্নায়ু চাপকে উপেক্ষা করে ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে জড়িয়ে নিজেদের উত্থান নিশ্চিত করেন তিনি। অথচ এ সময়ে চাপে ভেঙে পড়েছেন অনেক নামীদামী খেলোয়াড়রাই।
চলতি আসরে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে সতীর্থ লুকা মদ্রিচ পেনাল্টি মিস করেছেন। টাই-ব্রেকারেও আগের দিন প্রায় মিস করে বসেছিলেন। এর আগে মিস করেছেন লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো খেলোয়াড়রাও। আর টাই-ব্রেকারে চাপটা আরও বেশি। সে চাপে ভেঙে পড়েননি রাকিতিচ।
আর তাতেই ১৯৯৮ সালের পর আবার একটি সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়া। কি করে পারলেন এ চাপ জয় করতে? প্রশ্ন রাখা হয় রকিতিচকে। তাঁর উত্তর, ‘যখন আমি শেষ পেনাল্টিটি নিতে গেলাম তখন আমি আমার স্ত্রী, আমার কন্যা ও সুন্দর সব স্মৃতি ভাবছিলাম... এবং এ সব কিছু তাদের জন্যই।’
দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে ডেনমার্ককে হারায় ক্রোয়েশিয়া আর শেষ আটে স্বাগতিক রাশিয়াকে। এবার সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ১৯৬৬ সালের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। দারুণ ছন্দেও আছে দলটি। তাদের বিপক্ষে তাই লড়াইটা বেশ কঠিনই হবে। কিন্তু তারপরও নিজেদেরকেই ফাইনালে দেখছেন রাকিতিচ। আর তাদের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ দেখছেন বেলজিয়ামকে।
‘আমরা এখানে বিশ্বকাপ উপভোগ করতে চেয়েছিলাম। এটা অনেক লম্বা একটি সেশন। এটা দারুণ সময়। গ্রুপ পর্বে আমার খুবই দারুণ ছিলাম আমাদের অবশ্যই সেটা আবার করতে হবে। আমরা সেমিতে থেমে যেতে চাইনা। আমি চাই ক্রোয়েশিয়া-বেলজিয়াম ফাইনাল খেলুক।’
Comments