যে কারণে পর্তুগালের নাগরিক হচ্ছেন কৌতিনহো
লিভারপুল ছাড়তে না চাইলেও অনেকটা জোর করেই নাম লেখিয়েছেন বার্সেলোনায়। কারণ প্রিয় এ ক্লাবে খেলতে ছোট বেলা থেকেই আগ্রহী ছিলেন তিনি। সেই ক্লাবকে সুবিধা করে দিতে পর্তুগালের নাগরিকত্বের আবেদন করেছেন ফিলিপ কৌতিনহো। ফলে ইউরোপের বাইরে থেকে আরও বেশি খেলোয়াড় কিনতে পাড়বে বার্সেলোনা।
গত বছরে ইউরোপের বাইরে থেকে তিন জন খেলোয়াড় কেনে বার্সা। দুই ব্রাজিলিয়ান কৌতিনহো ও পৌলিনহো এবং কলম্বিয়ার ইয়েরি মিনা। তাই ইউরোপের বাইরে খেলোয়াড় কেনার আর কোন সুযোগ ছিল না তাদের। যদিও খুব শিগগিরই পৌলিনহো চিনে ফিরে যাচ্ছেন, তাই একটি জায়গা ফাঁকা হচ্ছে। এছাড়াও মিনাকে লোনে দিতে চাইছে দলটি। কিন্তু বার্সেলোনার চাহিদা যে আরও বেশি।
গুঞ্জন উঠেছে মেক্সিকোর হার্ভিং লোজোনো, ব্রাজিলের উইলিয়ান ও আর্জেন্টিনার ক্রিস্টিয়ান পাভনকে কিনতে চাইছে বার্সেলোনা। তালিকায় আছেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার আর্থারও। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে আরও কয়েকজন খেলোয়াড়কে নিয়ে। তাই কোটার তিনটি জায়গায়ই খালি চাই দলটির। কৌতিনহোও চান দলকে সাহায্য করতে। তাই এর মধ্যেই পর্তুগালের নাগরিক হওয়ার কাজ প্রায় চূড়ান্ত বলেই জানিয়েছে স্প্যানিশ গণমাধ্যম।
মূলত স্ত্রী এনি পর্তুগালের নাগরিক হওয়ার সুবিধা নিচ্ছেন কৌতিনহো। বার্সার আসার পর থেকেই এ নিয়ে আলোচনা চলছিল। তবে গ্রীষ্মের দলবদলের আগেই কোটা খালি করতে পর্তুগিজ নাগরিকত্বটা পেতে তাড়া দিচ্ছেন কৌতিনহো। পর্তুগালের নিয়ম অনুযায়ী বিয়ের তিন বছর পর ওই দেশের নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারে অন্য দেশের নাগরিকরা। এই বিশ্বকাপের মাঝেই বিয়ের ছয় বছর পার হয়েছে কৌতিনহো ও এনি দম্পতির।
তবে দলকে সহায়তায় কৌতিনহোই প্রথম নন। এর আগেও এমন অনেকেই করেছেন। সাবেক লিভারপুল তারকা লুইস সুয়ারেজও বার্সেলোনায় যোগ দিয়ে তার স্ত্রী সোফিয়া বালবীর কল্যাণে ইতালির নাগরিকত্ব নিয়ে দলকে সাহায্য করেছিলেন। আর বার্সার প্রাণ ভোমরা লিওনেল মেসির স্প্যানিশ নাগরিকত্ব ছিল শুরু থেকেই।
স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের নিয়ম অনুযায়ী, ইউরোপের বাইরে থেকে তিন জন খেলোয়াড়ের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে যে কোন দল। তবে ইউরোপের বাইরের কোন খেলোয়াড় টানা পাঁচ বছর স্পেনে খেললে তার জন্য স্প্যানিশ নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবে ক্লাব।
Comments