কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের মুক্তির দাবি
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক হামলার প্রতিবাদ এবং আটক আন্দোলনকারীদের আশু মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর নির্যাতন বন্ধের দাবিও জানানো হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিভাগের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলামের মুক্তি এবং তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নেওয়ার দাবিতে গতকাল (৯ জুলাই) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাছে আইন অনুষদের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
তারিকুলের বাবা শফিকুল ইসলামসহ প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী মানববন্ধনে অংশ নেন।
গত ২ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগার চত্বরে ছাত্রলীগের কর্মীরা তরিকুলকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
এরপর, তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
তরিকুলের মুক্তির দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক নাঈমা হক বলেন, “তরিকুল এই বিভাগের ছাত্র। আমরা তার মুক্তি দাবি করছি।”
আইন বিভাগের অপর শিক্ষক অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, “একটি যৌক্তিক প্রতিবাদে অংশ নেওয়ায় ছাত্রলীগের কর্মীরা তরিকুলকে মারধর করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এর ফলে তার মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।”
“তরিকুলকে একটি পুরনো মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে যা সম্পূর্ণই অপ্রাসঙ্গিক,” যোগ করেন আসিফ নজরুল।
সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলা এবং পুলিশি নির্যাতন বন্ধের দাবিও জানান তিনি।
তারিকুলের বাবা শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন যে তার ছেলেকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যেই তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমার ছেলে কোনো অপরাধ করেনি। সে লাইব্রেরিতে গিয়েছিল পড়ার জন্যে। কিন্তু, ছাত্রলীগ কর্মীরা তাকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে যায়। এবং পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।”
তরিকুলের একজন সহপাঠী ফাতেমা তাহসিন বলেন, “তরিকুল আমাদের সহপাঠী এবং আমরা তাকে ছাড়া ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নেব না।”
Comments