সংখ্যায় সংখ্যায় ইংল্যান্ড-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচ
এই দুই দল সেমিফাইনাল খেলবে, বিশ্বকাপের আগে এই কথা অনেকেই হয়তো বিশ্বাস করতে চাইতেন না। কিন্তু চমকের এই বিশ্বকাপে অনেককেই চমকে দিয়ে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে একবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও দ্বিতীয়বারের মতো সেমিফাইনাল খেলা ক্রোয়েশিয়া। দেখে নেয়া যাক এই দুই দলের পরিসংখ্যানগুলো।
হেড টু হেড
১) বিশ্বকাপে এই প্রথম মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল।
২) মেজর টুর্নামেন্টে এর আগে মাত্র একবারই মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। ইউরো ২০০৪ এর গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ৪-২ ব্যবধানে জিতেছিল ইংলিশরা।
৩) সব মিলিয়ে এই নিয়ে অষ্টমবারের মতো মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। আগের সাতবারের দেখায় ইংল্যান্ড জিতেছিল চারবার, ক্রোয়েশিয়া জিতেছে দুইবার আর ড্র হয়েছে একবার।
ক্রোয়েশিয়া
১) ১৯৯৮ সালের পর এই নিয়ে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে উঠেছে ক্রোয়েশিয়া। সব মিলিয়ে এটি ক্রোয়াটদের মাত্র দ্বিতীয় সেমিফাইনাল।
২) আর্জেন্টিনার পর মাত্র দ্বিতীয় দল হিসেবে এক বিশ্বকাপে দুটি পেনাল্টি শুটআউট জিতে সেমিফাইনালে উঠেছে ক্রোয়েশিয়া।
৩) নকআউট পর্বে ক্রোয়েশিয়া ছয় ম্যাচ খেলে হেরেছে মাত্র একটিতে, ১৯৯৮ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ফ্রান্সের কাছে।
৪) বিশ্বকাপে ইউরোপিয়ান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ৮ ম্যাচ খেলে ক্রোয়েশিয়ার পরাজয় ওই একটিই। এছাড়া বাকি ৭ ম্যাচের মধ্যে জিতেছে ৫ টিতেই, আর ড্র হয়েছে বাকি দুটি ম্যাচ।
৫) এই বিশ্বকাপে যে ১০ গোল করেছে ক্রোয়াটরা, তার মাত্র তিনটি এসেছে সেট পিস থেকে। তবে যে চার গোল খেয়েছে, তার মধ্যে তিনটিই সেট পিস থেকে।
৬) গত বছরের সেপ্টেম্বরে তুরস্কের কাছে ১-০ গোলের হারের পর থেকে নয়টি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে অপরাজিত আছে ক্রোয়েশিয়া।
৭) এই বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার আটজন ভিন্ন ভিন্ন খেলোয়াড় গোল করেছেন। এছাড়া কেবল বেলজিয়ামের নয়জন ফুটবলার গোল করেছেন এই টুর্নামেন্টে।
ইংল্যান্ড
১) এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। এর আগে ১৯৬৬ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পর্তুগালকে হারিয়েছিল ২-১ গোলে, আর ১৯৯০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পশ্চিম জার্মানির কাছে হেরেছিল পেনাল্টি শুটআউটে।
২) মেজর টুর্নামেন্টে নিজেদের শেষ তিন সেমিফাইনালেই হেরেছে ইংল্যান্ড।
৩) বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ছয় ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটি হেরেছে ইংল্যান্ড। জিতেছে তিনটি, আর ড্র করেছে দুইটি।
৪) ১৯৮২ বিশ্বকাপের পর আর কোন বিশ্বকাপে দুইটি ইউরোপিয়ান দলকে হারাতে পারেনি ইংল্যান্ড। ওই বিশ্বকাপে চেকোস্লোভাকিয়া আর ফ্রান্সকে হারিয়েছিল তারাআ।
৫) নিজেদের শেষ ৩০ টি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুইটিতে হেরেছে ইংলিশরা।
৬) এই বিশ্বকাপে নিজেদের ১১ গোলের মধ্যে ৮ টিই ইংল্যান্ড করেছে সেট পিস থেকে, ১৯৬৬ বিশ্বকাপে পর্তুগালের পর আর কোন দল এক আসরে সেট পিস থেকে এতগুলো গোল করতে পারেনি।
৭) এই বিশ্বকাপে কর্ণার থেকে চারটি গোল করেছে ইংল্যান্ড। সর্বশেষ যে তিনটি দল এক বিশ্বকাপে কর্ণার থেকে চার গোল করেছিল, তারা ওই আসরের শিরোপাও জিতেছিল (১৯৯৮ বিশ্বকাপে ফ্রান্স, ২০০৬ বিশ্বকাপে ইতালি আর ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানি)।
Comments