‘কারো শঙ্কা, কারো সম্ভাবনা’

US China trade
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের রপ্তানির পরিমাণের একটি চিত্র

যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের বাজার ধরে রাখতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন অন্য দেশগুলোর পণ্যের ওপর ‘শাস্তি হিসেবে’ আরোপ করছে নতুন শুল্ক। দেশটির এমন পদক্ষেপকে অন্যেরা নাম দিয়েছে ‘বিশ্ব বাণিজ্যযুদ্ধ’।

আমেরিকার যুদ্ধটা মূলত চীনের সঙ্গে। তবে যুদ্ধের মধ্যে আছে ইউরোপও। সারা পৃথিবীর অর্থনীতিতে এর কী প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়ে শঙ্কা-আশঙ্কা-পর্যালোচনা চলছে। আমাদের মতো দেশের উপর বাণিজ্য যুদ্ধের কেমন প্রভাব পড়বে, তা নিশ্চিত না হলেও শঙ্কা আছে।

চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যের পরিমাণ বেশি হওয়ায় প্রথম ধাক্কা চীনের ওপর এসে পড়ছে। ধীরে ধীরে সেই ধাক্কা গিয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু ও সহযোগী দেশগুলোর ওপরেও। আর সেই তালিকায় রয়েছে প্রতিবেশী কানাডা, আটলান্টিকের পূব পাড়ের দেশগুলো বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরা। এমনকি, যুক্তরাষ্ট্রের ‘নতুন কৌশলগত বন্ধু’ ভারতও জড়িয়ে পড়েছে সেই যুদ্ধে।

কিন্তু, কথায় আছে ‘কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ’। যুদ্ধের সময়েও তো ব্যবসা করেন কেউ কেউ! যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্ব অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর এই যুদ্ধে যেসব দেশ আর্থিক সুযোগ নিচ্ছে তাদের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া অন্যতম। দেশটির পণ্য উৎপাদকরা চলমান এই যুদ্ধের সুযোগে তাদের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির সুযোগ খুঁজছেন।

দ্য কোরিয়া হেরাল্ডের এক খবরে জানা যায়, দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন চীনের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের এই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারে স্যামসাংয়ের দেশ।

তাদের মতে, এই যুদ্ধের ফলে দুদিকেই সৃষ্টি হয়েছে বাণিজ্যের সুযোগ। অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে চীন কিছুটা শিথিল করেছে তাদের পণ্যবাজার। এতো দিনের ‘বন্ধ বাজার’ একটু হলেও খুলে যাওয়ায় সেই বাজারেও দক্ষিণ কোরিয়া পণ্য পাঠানোর কথা ভাবছে।

কোরীয় বিশেষজ্ঞদের ধারণা এই সুযোগ নিতে পারে অন্য দেশগুলোও। সেই তালিকায় থাকতে পারে বাংলাদেশও।

Comments

The Daily Star  | English

Central bank at odds with BPO over Nagad’s future

The discord became apparent after Faiz Ahmed Taiyeb, special assistant to the chief adviser with authority over the Ministry of Posts, Telecommunications and IT, sent a letter to the BB governor on May 12 and posted the letter to his Facebook account recently

2h ago