বিশ্বকাপ ফাইনাল মানেই যেন ইন্টার-বায়ার্নের উপস্থিতি!

চাইলে আপনি কাকতালীয় বলতে পারেন। কিংবা ইন্টার মিলান-বায়ার্ন মিউনিখের দূরদর্শিতাও বলতে পারেন। তবে কারণ যাই হোক, ক্রোয়েশিয়া-ফ্রান্স ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ার পরপরই নিশ্চিত হয়ে গেছে আরেকটি বিষয়, ৩৬ বছরের ধারাবাহিকতা নষ্ট হচ্ছে না এবারও।
Ivan Perisic
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ক্রোয়াশিয়া সমতায় ফেরে ইভান পেরেসিচের গোলে, পেরিসিচ খেলেন ইটালির ইন্টার মিলানে ছবি: রয়টার্স

চাইলে আপনি কাকতালীয় বলতে পারেন। কিংবা ইন্টার মিলান-বায়ার্ন মিউনিখের দূরদর্শিতাও বলতে পারেন। তবে কারণ যাই হোক, ক্রোয়েশিয়া-ফ্রান্স ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ার পরপরই নিশ্চিত হয়ে গেছে আরেকটি বিষয়, ৩৬ বছরের ধারাবাহিকতা নষ্ট হচ্ছে না এবারও।

তা কী সেই ধারাবাহিকতা? ১৯৮২ সাল থেকে শুরু করে এই নিয়ে টানা ১০ টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ইন্টার মিলান ও বায়ার্ন মিউনিখ, এই দুটি ক্লাবের অন্তত একজন করে হলেও খেলোয়াড় উপস্থিত থেকেছেন!

আসলেই ব্যাপারটা অদ্ভুত কাকতালীয়। সেই ১৯৮২ সাল থেকে শুরু, এরপর এমন একটি বিশ্বকাপ ফাইনালও যায়নি, যেখানে এই দুই ক্লাবের খেলোয়াড় ছিলেন না। এবারের ফাইনাল নিয়ে এই দশটি বিশ্বকাপের ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের মোট ২৭ জন খেলোয়াড় খেলছেন! সে তুলনায় ইন্টারের সংখ্যাটা একটু কম, এই ১০ ফাইনালে ইতালিয়ান ক্লাবটির মোট ১৬ জন খেলোয়াড় স্কোয়াডে ছিলেন।

স্পেনে অনুষ্ঠিত ১৯৮২ আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইতালি ও পশ্চিম জার্মানি। সেবার ইতালিয়ান দলে ইন্টারের খেলোয়াড় ছিলেন তিনজন, অপরদিকে জার্মান দলেও বায়ার্নের খেলোয়াড় ছিলেন তিনজন। সেই শুরু, এরপর থেকে প্রত্যেক ফাইনালেই দুই ক্লাবের অন্তত একজন হলেও খেলোয়াড় ছিলেন। দুই দলের সেই খেলোয়াড়দের তালিকাটা দেখে নিতে পারেন এখানে।

ইন্টার মিলান-

১৯৮২: বেপ্পে বার্গোমি, গ্যাব্রিয়েল ওরিয়ালি, আলেসান্দ্রো আলতোবেলি (ইতালি)।

১৯৮৬: কার্ল-হেইঞ্জ রুমেনিগে (পশ্চিম জার্মানি)।

১৯৯০: আন্দ্রে ব্রেহেমে, ইয়ুর্গেন ক্লিন্সম্যান, লোথার ম্যাথাউস (পশ্চিম জার্মানি)।

১৯৯৪: নিকোলা বার্তি (ইতালি)।

১৯৯৮: ইউরি জোরকায়েফ (ফ্রান্স), রোনালদো (ব্রাজিল)।

২০০২: রোনালদো (ব্রাজিল)।

২০০৬: মার্কো মাতেরাজ্জি (ইতালি)।

২০১০: ওয়েসলি স্নাইডার (নেদারল্যান্ডস)।

২০১৪: রদ্রিগো প্যালাসিও (আর্জেন্টিনা)।

২০১৮: ইভান পেরিসিচ, মার্সেলো ব্রজোভিচ (ক্রোয়েশিয়া)।

Corentin Tolisso
ফরাসী ফরোয়ার্ড কোরেন্টিন তোলিসো খেলেন জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখ ক্লাবে। ছবি: রয়টার্স

বায়ার্ন মিউনিখ-

১৯৮২: কার্ল-হেইঞ্জ রুমেনিগে, পল ব্রেইটনার, ওলফগ্যাং ড্রেমলার (পশ্চিম জার্মানি)।

১৯৮৬: লোথার ম্যাথাউস, ডায়েটার হোয়েনেস, নর্বার্ট এডার (পশ্চিম জার্মানি)।

১৯৯০: ক্লস অগেনথেলার, ইয়ুর্গেন কোহলার, স্টেফান রয়টার, লোথার ম্যাথাউস (পশ্চিম জার্মানি)।

১৯৯৪: জর্জিনহো (ব্রাজিল)।

১৯৯৮: বিক্সেন্তে লিজারাজু (ফ্রান্স)।

২০০২: অলিভার কান, কার্স্টেন জ্যাঙ্কার, থমাস লিঙ্ক, জেন্স জেরেমিস (জার্মানি)।

২০০৬: উইলি স্যাগনোল (ফ্রান্স)।

২০১০: আরিয়েন রোবেন, মার্ক ফন বোমেল (নেদারল্যান্ডস)।

২০১৪: ম্যানুয়েল নয়্যার, ফিলিপ লাম, জেরোম বোয়াটেং, বাস্তিয়ান শোয়ানস্টাইগার, টনি ক্রুস, থমাস মুলার, মারিও গোটশে (জার্মানি)।

২০১৮: কোরেন্টিন তোলিসো (ফ্রান্স)।  

 

Comments

The Daily Star  | English
dmp cases

33 DMP OCs to be transferred in first phase

At least 33 officers-in-charge (OC) of Dhaka Metropolitan Police are going to be transferred following an Election Commission directive, DMP said today

8m ago