এবার কি তবে ক্রোয়েশিয়ার পালা?
ক্রোয়েশিয়া ভালো খেলবে এমনটা ধারণা করেছিলেন অনেকে, কিন্তু একেবারে ফাইনালে উঠে যাবে, এটা বোধহয় ভাবেননি কেউ। তবে ইতিহাস বলছে, বেলজিয়াম হেরে যাওয়ার পর ফাইনালে উঠতেই হতো ক্রোয়েশিয়াকে!
শুনতে অদ্ভুত লাগছে? ইতিহাসের পাতায় একটু পেছন ফিরে তাকালেই ধরতে পারবেন বিষয়টা। রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে অনুষ্ঠিত হওয়া ২০ টি বিশ্বকাপে আটটি চ্যাম্পিয়ন দেশ পেয়েছে বিশ্বকাপ। কিন্তু একটি ঘটনার ব্যতিক্রম হয়নি কখনোই। কী সেটি? সেটি হলো, ১৯৫৮ সাল থেকে প্রতি ২০ বছর পর পর নতুন চ্যাম্পিয়ন পেয়েছে ফুটবল বিশ্ব।
১৯৫৮ বিশ্বকাপে ১৭ বছর বয়সী পেলের জাদুকরী পারফরম্যান্সে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিল ব্রাজিল। এরপর প্রতি ২০ বছর অন্তর অন্তর নতুন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পেয়েছে ফিফা। ব্রাজিলের জয়ের ২০ বছর পর ১৯৭৮ সালে মেক্সিকোর মাটিতে মারিও কেম্পেস নামক এক দেবদূতের কল্যাণে প্রথমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিলের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনাও।
এই ধারাবাহিকতা বজায় থেকেছে পরের বারও। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের ২০ বছর পর, ১৯৯৮ বিশ্বকাপে আবারও নতুন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পায় ফুটবল বিশ্ব। জিনেদিন জিদানের নৈপুণ্যে ফাইনালে ফেভারিট ব্রাজিলকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের তালিকায় নিজেদের নাম তুলে নেয় ফ্রান্স।
সেই ধারাবাহিকতাই বলছে, ২০ বছর পর আরেকটি বিশ্বকাপে নতুন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দেখার কথা সমর্থকদের। সেমিফাইনালে ওঠা চার দলের মধ্যে বেলজিয়াম ও ক্রোয়েশিয়াই কখনো বিশ্বকাপের স্বাদ পায়নি। প্রথম সেমিফাইনালে ফ্রান্সের কাছে বেলজিয়াম হেরে যাওয়ার পর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে তাই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিততেই হতো ক্রোয়েশিয়াকে। সেমিফাইনাল জিতে তারা ফাইনালেও গিয়েছে।
ইতিহাসের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এবার কি তবে সত্যিই ক্রোয়েশিয়ার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পালা?
Comments