রেবিচ কি সেমিফাইনালে দুটি হলুদ কার্ড দেখেও খেলেছেন?
৫২ বছর পর আবার একটি ফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু ইংলিশদের কাঁদিয়ে স্বপ্নের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। তাতে বেশ ক্রুদ্ধই ইংলিশ সমর্থকরা। কারণ ক্রোয়েশিয়ার উইঙ্গার আন্তে রেবিচকে দুই হলুদ কার্ড পেতে দেখেছেন তারা। এরপরও পুরো ১২০ মিনিট মাঠে থাকায় রাগটা করতেই পারেন সমর্থকরা।
সেমিফাইনালের সে ম্যাচে প্রথমার্ধ অনেকটা ম্যাড়মেড়ে হলেও সময়ে সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ে। বিশেষ করে গোল পরিশোধ হওয়ার পর বেশ কয়েকবার হাতাহাতিও হয়। তবে তারপর রেফারির কার্ড বেশিরভাগ সময় পকেটেই ছিল। পুরো ১২০ মিনিটে মাত্র তিনবার হলুদ কার্ড দেখান তিনি। আর এর মাঝেই ইংলিশ সমর্থকদের জ্বালা বাড়িয়ে দিয়েছেন তুরস্কের রেফারি জুনেইট চকুস।
প্রথম ঘটনাটি ম্যাচের ৪৮ মিনিটে। হাওয়ায় ভাসানো বল ধরতে গিয়ে ইংলিশ ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকারকে হাত দিয়ে খোঁচা দিয়ে ফেলে দিয়েছিলেন রেবিচ। সঙ্গে সঙ্গেই রেফারি ফাউলের বাঁশি বাজান। এরপর পকেট থেকে হলুদ কার্ড বের করেন এবং নোট বুকে টুকে রাখেন।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ম্যাচের ৯৬ মিনিটে। ম্যাচ তখন সমতায়। ড্যানি রোজকে বিপদজনক ভাবে ফাউল করায় হলুদ কার্ড দেখেন রেবিচ। তখনই তৈরি হয় বিভ্রান্তি। টিভি ধারাভাষ্যকারও বলেন, ‘হলুদ কার্ড দেখলেন রেবিচ। আমিতো ভেবেছিল দ্বিতীয়ার্ধেই শুরুতেই পেয়েছিলেন। এখন নিশ্চিত হলাম তখন তিনি পাননি।’এমনকি বিবিসির ওয়েবসাইটে লাইভ আপডেটেও ভুলে রেবিচের নাম লিখেছিল।
আসলেই প্রথমবার হলুদ কার্ড দেখেননি রেবিচ। সামনে থাকলেও হলুদ কার্ডটি দেখিয়েছিলেন মারিও মানজুকিচকে। ওই ফাউলের পর রেফারির দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন মানজুকিচ। তার অতিরিক্ত রাগ পছন্দ হয়নি রেফারির। তাই তাকে হলুদ কার্ড দেখান তিনি। কিন্তু ফাউলটি রেবিচ করায় এবং ওই সময় সামনে থাকায় অনেকেই ভেবেছিলেন কার্ড আসলে দেখেছেন রেবিচই।
আর এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ইংলিশ সমর্থকরা। সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে নানা ধরণের কটূক্তিতে মেতে ওঠেন তারা। আর ম্যাচের হারার পর রাগটা তাই রেফারির উপরই উগলে দিয়েছেন। অনেকে আবার বলছেন, আসলে ওই কার্ড দেখেছিলেন রেবিচই। পরে নাম বদলেছেন রেফারি।
Comments