বিশ্বকাপ জিতে বাবাকে নিয়ে পগবার আবেগপ্রবণ বার্তা

এইতো বছর দুই আগের কথা। ইউরোর ফাইনালে হারের পর মাথা নিচু করে মাঠ ছেড়েছিলেন পল পগবা। বাবার হাতে শিরোপাটা তুলে ধরতে চেয়েছিলেন তিনি। পারেননি। বছর দুই পরে জিতলেন সর্বোচ্চ সম্মানটাই। বিশ্বকাপের শিরোপা। কিন্তু এবারও বাবার হাতে তুলে দিতে পারলেন না পগবা। কারণ আগের বছরই যে তাকে চিরতরে হারিয়েছেন এ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা।

আগের দিন মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ গোলে বিধ্বস্ত করে শিরোপা জিতে নিয়েছে ফ্রান্স। দলের চতুর্থ গোলটি করে ক্রোয়েটদের স্বপ্নে ছেদ ফেলেন পগবাই। এমন কীর্তির পরও কিছুটা কষ্ট তাকে ছুঁয়ে যাচ্ছে। কারণ বাবাকে খুব মিস করেছেন তিনি। তবে বিশ্বাস করছেন ওপারে থেকেই গর্বিত হয়েছেন তার বাবা।

১৯৯৮ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ জিতেছিল ফ্রান্স। তখন পগবা খুবই ছোট। বিশ্বকাপ জয়ের গর্বটা বুঝতেনও না। বড় হওয়ার পর সেই বিশ্বকাপের ফাইনালে বাবার সাথে অনেকবার দেখেছেন। কিন্তু নিজে যখন একটা বিশ্বকাপ জিতলেন সেটা দেখা হবে না বাবার সাথে। ২৫ বছর বয়সী পগবা তাই আবেগটা ধরে রাখতে পারেননি।

‘আমি ১৯৯৮ সালের কথা ভাবছি। বাড়িতে যখন আমি এবং আমার বাবা ওই বিশ্বকাপের টেপটা যখন দেখতাম তখন পুরোটা দেখতাম, পুরোটা। এখন আমিও একজন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। আমি আমার বাবাকে মিস করছি। তিনি আমাদের দেখেছেন। আমার মনে হয় তিনি খুবই গর্বিত বোধ করছেন। এটা তার জন্যই।’- বিশ্বকাপটা বাবাকে উৎসর্গ করে এমনটাই বললেন পগবা।

মাঠে নামার আগেই সতীর্থদের কাছে বিশ্বকাপটা চেয়েছিলেন পগবা। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তা সম্ভবও হয়েছে। তাই সবাইকে ধন্যবাদ দিতে ভুল করেননি পগবা, ‘ম্যাচের আগে আমি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। বলেছি আমাকে এটা জিততে দাও, স্বপ্নটা বাস্তব করতে দাও। স্বপ্নটা ধরতে দাও। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা সবাই মিলে এটা করেছি। আমাদের কাজের মূল্য পেয়েছি। আমরা দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে খুবই গর্বিত।’

Comments

The Daily Star  | English

Yunus, Modi exchange Eid greetings

The interim government on Sunday shared both the letters on its Facebook page

1h ago