গোলে শট না নিয়েই বিশ্বকাপ জেতার অংশ
অলিভিয়ের জিরুকে দেখে কি কিছুটা ঈর্ষা হচ্ছে না লিওনেল মেসির? ব্রাজিল বিশ্বকাপে শিরোপা জেতার জন্য কি কি করেননি মেসি! গোল করেছেন, করিয়েছেন, গোটা দলের খেলাও নিয়ন্ত্রণ করেছেন। তারপরেও ছুঁয়ে দেখা হয়নি আরাধ্য বিশ্বকাপ ট্রফি। অথচ সেই একই ট্রফি কত সহজে পেয়ে গেলেন অলিভিয়ের জিরু!
যেকোনো দলে একজন নম্বর নাইনের মূল কাজ হলো দলকে গোল এনে দেয়া। গোল না করতে পারলেও অন্তত এসিস্ট করে দলকে সহায়তা করা। তবে ফ্রেঞ্চ নম্বর নাইন জিরু গোল এসিস্ট তো দূরের কথা, পুরো বিশ্বকাপে গোলপোস্টে একটি শটও নিতে পারেননি! অথচ তাও তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে একটি বিশ্বকাপ শিরোপা।
আরও পড়ুন ঃ ফ্রান্স কোথায়, বিশ্বকাপ তো জিতল আফ্রিকা!
মূল স্ট্রাইকার হিসেবে করিম বেনজেমার বদলে চেলসিতে যোগ দেয়া জিরুর উপরেই আস্থা রেখেছিলেন দিদিয়ের দেশম। অথচ সেই জিরুই কি না বিশ্বকাপ শেষ করলেন এমন অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডের মালিক হয়ে। পুরো টুর্নামেন্টে মোট ৫৪৬ মিনিট মাঠে ছিলেন এই ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার, তার মধ্যে গোলপোস্টে একটি শটও নিতে পারেননি।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই কেবল শুরুর একাদশে ছিলেন না। এরপরের ছয়টি ম্যাচেই খেলেছেন শুরু থেকে। ১৯ বছরের এমবাপে চার গোল করেছেন, গোল করেছেন উমতিতি-পাভারদের মতো ডিফেন্ডাররাও। অথচ গোল করার মূল দায়িত্ব ছিল যার উপর, সেই জিরু প্রতিপক্ষ গোলকিপারকে একবারের জন্য পরীক্ষায়ও ফেলতে পারেননি!
গতকাল ফাইনালেও মাঠে ছিলেন ৮১ মিনিট। ততক্ষণে ম্যাচে হয়ে গেছে ৬ গোল, অথচ গোলে কোন শট নেই জিরুর। শেষ পর্যন্ত বদলি হিসেবে যখন উঠেই গেলেন, যাত্রাপথে বিরলতম এই রেকর্ডও সঙ্গী হয়েছে এই স্ট্রাইকারের।
তবে জিরুর এখন এসব ভাবতে বয়েই গেছে। হয়তো ভাবছেন, গোলে শট না নিয়েই যদি বিশ্বকাপজয়ী হওয়া যায়, তাহলে আর কষ্ট করে শট নেয়ার দরকার কী!
আরও পড়ুন ঃ ফ্রান্স তো ফুটবলই খেলেনি: লভরেন
Comments