উদযাপন করতে গিয়ে প্যারিসে নিহত দুই, আটক শতাধিক

২০ বছরে তিনটি বিশ্বকাপের ফাইনাল। দুটিতে জয়। মাঝে আছে একটি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপাও। দারুণ সময় পার করছে ফরাসীরা। বিশেষ করে আগের দিনে বিশ্বকাপ জয়ের উদযাপন এখনও শেষ হচ্ছে না তাদের। তবে এর মধ্যে ঘটে গেছে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনাও। উদযাপন করতে গিয়ে তার মাত্রা ছাড়িয়ে গেছেন অনেকেই। এমনকি উদযাপন করতে গিয়ে দুই ব্যক্তি মারাও গিয়েছেন বলে দাবি করেছে ফরাসী গণমাধ্যম।

২০ বছরে তিনটি বিশ্বকাপের ফাইনাল। দুটিতে জয়। মাঝে আছে একটি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপাও। দারুণ সময় পার করছে ফরাসীরা। বিশেষ করে আগের দিনে বিশ্বকাপ জয়ের উদযাপন এখনও শেষ হচ্ছে না তাদের। তবে এর মধ্যে ঘটে গেছে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনাও। উদযাপন করতে গিয়ে তার মাত্রা ছাড়িয়ে গেছেন অনেকেই। এমনকি উদযাপন করতে গিয়ে দুই ব্যক্তি মারাও গিয়েছেন বলে দাবি করেছে ফরাসী গণমাধ্যম।

ফরাসী গণমাধ্যম লা পেরিজিয়ানের রিপোর্ট অনুযায়ী, দুইজন ব্যক্তি উদযাপন করতে গিয়ে মারা গিয়েছেন। এর মধ্যে একজন অ্যানেসির কাছে একটি অগভীর খালে ঝাঁপ দিয়ে মারা গিয়েছেন। অপরজনের মৃত্যু হয় সড়ক দুর্ঘটনায়। গাড়ি চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে লাগিয়ে মারা যান সে ব্যক্তি।

রিপোর্ট আরও বলা হয়, শহরের প্রাণকেন্দ্রে মাথায় আঘাত পেয়ে এক ব্যক্তি গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশকে টিয়ার গ্যাস, দাঙ্গা অস্ত্র ব্যবহার করতে হয়। এছাড়াও প্যারিসের প্রসিদ্ধ জায়গাগুলোতে জানালা ভেঙে দোকান লুটপাটও হয়েছে প্রচুর। তাই বাধ্য হয়েই তাদের অনেককে আটক করেছে ফরাসী পুলিশ।

ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ গোলে উড়িয়ে দেয় ফ্রান্স। তবে এমবাপে দলের হয়ে তৃতীয় গোল করার পর থেকেই উৎসবে মেতে ওঠে ফরাসীরা। এক পর্যায়ে তা পরিণত হয় উগ্রতায়। তা নিয়ন্ত্রণ করতে ১১০০০০ পুলিশ নিয়জিত করে সরকার। এক সংবাদ সম্মেলন করে প্যারিস পুলিশ দপ্তরের প্রধান মাইকেল দেলপুয়েচ বলেন, ‘উদযাপনের মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণ করতে এখন পর্যন্ত আমাদের ১০২ জনকে আটক করতে হয়েছে।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২৯২ জন মানুষ অনৈতিক কাজে জড়িত ছিলেন। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ৪৫ জন পুলিশও আহত হয়। তবে উগ্রতা যে শুধু প্যারিসেই হয়েছে তা নয়, প্রায় পুরো ফ্রান্সেই একই হয় ঘটনা। লিওঁতে ৩০ জন আটক হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ জন ধরা পড়েন স্থানীয় দোকানগুলোতে ডাকাতি করতে গিয়ে। মার্সেইতেও আটক হয়েছে ১০ জন।  

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago