বিশ্বকাপের পারিশ্রমিক ও বোনাস সবই দান করে দিলেন এমবাপে
বয়স মাত্র ১৯। এ বয়সে স্বপ্নটা থাকে আকাশ ছোঁয়া। রাজকীয় ভাবেই কাটাতে চায় প্রায় সব টিনএজাররা। কিন্তু তা পূরণ করতে পারে কয় জন? পেরেছেন ফ্রান্সের সোনার ছেলে কিলিয়েন এমবাপে। এই বয়সেই যে বিশ্ব জয়। এবার হৃদয়ও জয় করে নিলেন ও তরুণ। বিশ্বকাপে পাওয়া পুরো পারিশ্রমিক ও বোনাস সবটাই দান করে দিলেন চ্যারিটিতে।
বিশ্বকাপের মাঝেই এমবাপে উপলব্ধি করেছেন জাতীয় দলের জন্য খেলে কোন পারিশ্রমিক নেওয়া উচিৎ নয়। তখনই ঘোষণা দেন, বিশ্বকাপে খেলার জন্য কোনো পারিশ্রমিক নেবেন না। ক্লাবের হয়ে তো আর কম উপার্জন করেন না এ তরুণ। প্রতি মাসে তাকে ১.৭ মিলিয়ন ডলার গুনে দিচ্ছে তার ক্লাব পিএসজি।
বিশ্বকাপ শেষে যখন এমবাপের হাতে পারিশ্রমিকটা তুলে দেওয়া হলো তখন তিনি তার কথা অনুযায়ী পুরো অর্থটা দান করেছেন প্রিমিয়ার দি করদে চ্যারিটি ফাউন্ডেশনে। ফাউন্ডেশনটির ম্যানেজার সাবস্ত্রেইন রুফিন নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি। আর মানুষ এমবাপেকে নিয়ে বলেছেন,‘কিলিয়ান (এমবাপে) অসাধারণ একজন মানুষ। তার যখন সময় হয় তখন আমাদের নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। বাচ্চাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক দারুণ। ওদের উদ্দীপ্ত করতে সব সময় পাশে থাকেন। তাদের সঙ্গে খেলতেও নাকি অনেক পছন্দ করেন।’
বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচে ১৭ হাজার পাউন্ড করে পারিশ্রমিক পেয়েছেন এমবাপে। শিরোপা জয় করায় বোনাস হিসেবে পেয়েছেন ২ লাখ ৬৫ হাজার পাউন্ড। সবমিলিয়ে ৩ লাখ ৮৪ হাজার পাউন্ড পারিশ্রমিক পেয়েছেন তিনি। তার পুরোটাই দান করেছেন এ ফরাসী তারকা।
ক্যামেরুন বংশোদ্ভূত বাবা উইলফ্রেড এমবাপে আর আলজেরীয় মা ফাইজার সন্তান এমবাপে কদিন আগেও প্যারিজিয়ানের বান্ডি উপবনের পাশে দরিদ্র পরিবারে বসবাস করতেন। শৈশবে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে দেখেই ফুটবলের প্রতি আসক্ত হয়েছেন। নিয়মিত অনুশীলন করতেন। সেখান থেকেই বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা তারকা এ তরুণ। চলতি বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ও তিনি। টুর্নামেন্টে করেছেন মোট চার গোল করেছেন। যার তিনটিই নকআউট পর্বে। এমনকি করেছেন ফাইনালেও।
Comments