কয়লা গেল কই, আর গুপ্তধন?

শাবল-কোদাল নিয়ে মিরপুরে বাড়ির মেঝেতে গুপ্তধনের খোঁজ। ছবি: প্রবীর দাশ

বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির ডিপো থেকে ১ লাখ ৪২ হাজার টন কয়লা গায়েব হয়ে গেল। গতকালকের দ্য ডেইলি স্টারের সংবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সয়লাব। কয়েকদিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘কোনো গুম হচ্ছে না। প্রেমে ও ব্যবসায় ব্যর্থ হয়ে নানানজন নানান দিকে চলে যাচ্ছে। আমরা তাদের এনে হাজির করছি।’

মানুষ নানান দিকে চলে যাচ্ছে এবং পুলিশ তাদের খুঁজে আনছে। কয়লা কোন দিকে গেল? কে খুঁজে আনবে? কর্তাদের কয়েকজনকে ক্লোজ করে আনা হয়েছে। খোঁজার কমিটিও হয়েছে। তারা কোন দিকে খুঁজছে, কীভাবে খুঁজছে?

কয়লা মন খারাপ করে নানান দিকে চলে গেছে, একথা যেহেতু বলার সুযোগ নেই, তাহলে কে বা কারা নিয়ে গেল কয়লা? কয়লা নেওয়ার জন্যে নিশ্চয়ই কোনো পরিবহন ব্যবহার করা হয়েছে। পরিবহন বলতে যদি ট্রাক ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তাহলে ১ লাখ ৪২ হাজার টন কয়লা পরিবহনের জন্যে প্রতি ট্রাকে ১০ টন করে হলেও, কমপক্ষে ১৪ হাজার ট্রাকের প্রয়োজন হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন এই অঙ্ক করে দেখিয়েছেন।

কয়লা খনি এবং সংরক্ষণ ডিপোকে কেন্দ্র করেও রয়েছে ‘কঠোর নিরাপত্তা’ ব্যবস্থা। অথচ কেউ কিছু জানালেন না, দেখলেন না। এখন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি। ছবি: কঙ্কন কর্মকার

২.

‘গুপ্ত ধন আছে’- কেউ একজন জানালেন পুলিশকে। নিরাপত্তাহীনতার মুখে বাড়ির মালিকও জিডি করলেন থানায়। অনুসন্ধান করে দেখতে বললেন।

পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট বাড়িতে ঢুকে রুমের মেঝে খুঁড়তে শুরু করলেন। দুটি রুমে চার ফুট গর্ত করেও গুপ্তধনের সন্ধান পেলেন না। বাড়ির ভিত শক্ত না হওয়ায় খোঁড়া বন্ধ করলেন। বললেন, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করবেন না খুঁড়ে গুপ্তধনের সন্ধান পাওয়ার উপায় আছে কি না।

একজন মানুষের বসত বাড়ির রুম খোঁড়াখুঁড়ি করার আগে, বিশেষজ্ঞদের থেকে একটু জেনে নিলে হতো না?

এটা যদি রাজনীতিবিদ বা বিত্তবানের কারও বাড়ি হতো, পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট এভাবে খনন কার্যক্রম চালাতেন বা চালাতে পারতেন?

Comments

The Daily Star  | English

Muslim pilgrims pray at Mount Arafat in hajj apex

Thousands of pilgrims began to gather before dawn around the hill and the surrounding plain

1h ago