'বিশ্বকাপে খেলতে গিয়েছিলাম কারো লাথি খেতে নয়'

রাশিয়া বিশ্বকাপের পর্দা নেমেছে সপ্তাহ পার হতে চলল। তবে এর আবহ এখনও বিদ্যমান। বিশেষ করে ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারকে নিয়ে সমালোচনা এখনও শেষ হয়নি। আর এমন সমালোচনায় ব্যাপক ক্রুদ্ধ এ পিএসজি তারকা।
 বিশ্বকাপে খেলতে গিয়েছিলাম নেইমার
এএফপিকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ছেলেকে নিয়ে নেইমার।

রাশিয়া বিশ্বকাপের পর্দা নেমেছে সপ্তাহ পার হতে চলল। তবে এর আবহ এখনও বিদ্যমান। বিশেষ করে ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারকে নিয়ে সমালোচনা এখনও শেষ হয়নি। আর এমন সমালোচনায় ব্যাপক ক্রুদ্ধ এ পিএসজি তারকা।

চলতি বিশ্বকাপে অতিরিক্ত ফাউলের স্বীকার হয়েছেন নেইমার। এক সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষের ম্যাচেই হয়েছেন ১০ বার। যা গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। কিন্তু এতো ফাউলের স্বীকার হওয়ার পরও উল্টো অভিনয়ের অপবাদে সমালোচনার বাণে বিদ্ধ হচ্ছেন তিনিই।

অবশ্য এর উপযুক্ত কারণও রয়েছে। কোস্টারিকার বিপক্ষে ডাইভ দিয়ে একটি পেনাল্টি আদায় করেছিলেন নেইমার। পরে কোস্টারিকার খেলোয়াড়দের আবেদনে ভিডিও রেফারির সহায়তা নিয়ে পেনাল্টি বাতিল করে দেন অন-ফিল্ড রেফারি। রিপ্লেতে দেখা যায়, বাঁধা দেয়ার সময় নেইমারের গায়ে স্পর্শই করেননি গঞ্জালেস।

এছাড়াও ভিএআরের আরও একটি সিদ্ধান্ত নেইমারের বিপক্ষে যায়। মেক্সিকোর বিপক্ষে তার পায়ে পাড়া দিয়েছিলেন মিগুয়েল। রিপ্লেতে তা পরিষ্কার বোঝা গেলেও অন-ফিল্ড রেফারি মিগুয়েলকে কোন শাস্তি দেননি। আর তাতেই সমালোচকরা নতুন করে ঝাঁপিয়ে পরে।

তবে এ সব সমালোচনায় বেশ খেপেছেন নেইমার। এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি বিশ্বকাপে গিয়েছিলাম খেলতে কারো লাথি খেতে নয়। এ ধরণের সমালোচনা ক্ষতিকারক। তবে আমি অনেক বড় ছেলে। আমি এ ধরণের জিনিস নিয়ন্ত্রণ করে আমি অভ্যস্ত।’

তবে রেফারির সিদ্ধান্তও নেইমারকে অবাক করেছে। তাই আক্ষেপ করেই বলেছেন, ‘মানুষ খুব দ্রুতই সমালোচনা করে। কেউ ফাউলের স্বীকার হয় আর কেউ করে। এখন আমি একই সময়ে রেফারি ও খেলোয়াড় হতে পারি না। তবে মাঝে মাঝে মনে হয়েছে যদি হতে পারতাম।’

নিজের দেশেও সমালোচনার স্বীকার নেইমার। কারণ ব্রাজিলের প্রত্যাশা ছিল আরও অনেক বেশি। শেষ আটে থেমে যাওয়ায় অনেকেই দায় দিচ্ছেন নেইমারকেই। অনেকেই বলছেন চাপেই ভেঙে পড়েছেন নেইমার। কিন্তু এ ধরণের সমালোচনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন এ তারকা।

‘সকল বড় খেলোয়াড়েরাই চাপে থাকে। আমি আমার দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন ছিলাম। শুধু ব্রাজিল নিয়েই নয়, এমনকি ক্লাব ফুটবলেও সেই ১৭-১৮ বছর বয়স থেকেই। আমি এসব চাপ সামলে নেওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছি। তবে আমি জানি যখন ফলাফল প্রত্যাশা অনুযায়ী না হয়, তখন চাপ বেড়ে যায়।’

কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের বিপক্ষে হেরে শেষ হয় ব্রাজিলের বিশ্বকাপ। সে ম্যাচে দারুণ খেলেও গোলের দেখা পাননি নেইমার। তাতে আরও বেশি হতাশ হয়ে পড়েন তিনি। সে হারের পর আর ফুটবল খেলাই দেখেননি এ পিএসজি তারকা, ‘আমি এমনটা বলব না যে আমি আর ফুটবল খেলব না। তবে আমি এরপর (বেলজিয়ামের বিপক্ষে হারের পর) আর বল দেখতে চাইনি এবং আর কোন ফুটবল ম্যাচ দেখিনি।

বেলজিয়ামের বিপক্ষে হেরে শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছিলেন নেইমার। তবে সে শোক কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন বলেই জানান, ‘আমি শোকে স্তব্ধ ছিলাম। আমি সত্যিই খুব দুঃখিত ছিলাম। তবে শোক কেটে গেছে। আমার ছেলে আছে, পরিবার আছে, বন্ধু আছে তারা চায় না আমি নিস্তেজ হয়ে যাই। আমার বিমর্ষ থাকার চেয়ে খুশি থাকার অনেক কারণ আছে।’

এদিকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে জুভেন্টাসে নাম লেখানোর পর গুঞ্জন উঠেছে পিএসজি ছেড়ে রিয়ালে আসছেন নেইমার। এমন প্রশ্নে উল্টো ক্ষেপে গিয়েছেন এ তারকা, ‘যারা এ ধরণের গল্প বানায় তাদের আমার জীবন সম্পর্কে জানা উচিৎ। তারপর আমি বলব। আমি এমন ধরণের প্রশ্নের উত্তর দিব না কারণ কিছুই ঘটেনি।’

Comments

The Daily Star  | English

Over 5,500 held in one week

At least 738 more people were arrested in the capital and several other districts in 36 hours till 6:00pm yesterday in connection with the recent violence across the country.

14h ago