হৃদয় উজাড় করে দেশের জন্য খেলতে বলেছিলেন মাশরাফি

টেস্টে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে সিরিজ পার করার পর অনেকটা দিশেহারা ছিল বাংলাদেশ দল। ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা দলে যোগ দিয়ে পালটে দিয়েছেন দলের শরীরী ভাষা। প্রথম ওয়ানডেতেই দেখা মিলেছে অন্য বাংলাদেশের। তা কি এমন বলে দলকে চাঙা করলেন অধিনায়ক, এমন প্রশ্ন এসেছিল ম্যাচ শেষে।

স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে দলে যোগ দেওয়া নিয়েই অনিশ্চয়তা ছিল মাশরাফির। স্ত্রী চিকিৎসার জন্য ঠিকমতো অনুশীলন করা হয়নি। তবে দলের কথা ভেবেই শেষ মুহূর্তে উড়ে যান হাজার মাইল। সেখানে গিয়ে ভ্রমণ ক্লান্তিতে আর প্রস্তুতি ম্যাচটা খেলার সুযোগ হয়নি। তবে এর ছাপ দেখা যায়নি ম্যাচে।

৩৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে বড় অবদান রেখেছেন দলের জয়ে। তামিম ইকবাল-সাকিব আল হাসানের রেকর্ডময় জুটিতে ২৭৯ রান করেছিল বাংলাদেশ। ক্যারিবিয়ানদের ২৩১ রানে থামিয়ে অনায়াসে জিতেছে মাশরাফির দল।

বোলিংয়ে নিজের কাজটা করে যান। তবে মাশরাফি আসল কাজ আরও বড়। তার উপস্থিতিতেই চাঙা হয়ে যায় দল। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। ম্যাচের আগে সবাইকে ডেকে পুরনো কথাই নতুন করে শুনিয়েছেন, ‘বিশেষ কিছু বলিনি। স্রেফ বলেছি, হৃদয় উজাড় করে খেলতে, দেশের জন্য খেলতে। যা হয়েছে, তা তো হয়েই গেছে (টেস্ট সিরিজে)। এটা নতুন সিরিজ। শুরুটা ভালো করতে পারলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। আজ ঠিক সেটাই হয়েছে। আশা করি এই পারফরম্যান্স আমরা ধরে রাখতে পারব।’

এদিন বল করেছেন কম রান আপ নিয়ে। শারীরিক ধকল এড়াতেই এই ব্যবস্থা বাংলাদেশ অধিনায়কের, ‘কিছুটা ক্লান্ত। তবে আমি ঠিক আছি। আমি অনেকদিন ধরেই লং রান আপে বোলিং করছিলাম না, প্রায় দুই-তিন মাসে মত। আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা সবসময় একটু কঠিন, তবে আমি উপভোগ করছি।’

গায়ানায় এর আগে একবারই ওয়ানডে খেলেছিল বাংলাদেশ। ২০০৭ বিশ্বকাপের সুপার এইটে এখানেই হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। সে ম্যাচের একাদশে থাকা মাশরাফি মনে করেছেন সেই সুখস্মৃতিও, ‘আমি এখনো ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের স্মৃতি স্মরণ করতে পারি। আমার মনে হয় এখানকার উইকেট আমাদের হয়ে কথা বলে। আজ ব্যাটিং কঠিন ছিল শুরুর দিকে। তামিম ও সাকিব খুবই ভালো খেলেছে। ওরাই সুরটা ধরে দিয়েছে। আর শেষের দিকে মুশফিকের ছোট্ট ইনিংসটি দুর্দান্ত ছিল। আমরা জানতাম ভালো বল করলে ২৮০ রান তাড়া করা সবসময় কঠিন।’

আমরা গেইল ও লুইসকে দ্রুত ফেরাতে চেয়েছি, সেটাই হয়েছে আজ। আর পরবর্তীতে আমরা ওদের ক্রমাগত চাপের মধ্যে রেখেছি এবং ফলাফল আমাদের পক্ষে গিয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

JnU students vow to stay on streets until demands met

Jagannath University (JnU) students tonight declared that they would not leave the streets until their three-point demand is fulfilled

58m ago