পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান?
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/imran-nawaz.jpg?itok=fkI3g_-k×tamp=1532499588)
ভোট জালিয়াতি, সহিংসতাসহ বহুমুখী শঙ্কার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। দেশটিতে ক্রিকেটের ময়দান থেকে রাজনীতিতে আসা পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খান পাকিস্তান মুসলিম লীগের (পিএমএল-এন) কারাবন্দী নওয়াজ শরীফের পদের উত্তরাধিকার হওয়ার আশায় রয়েছেন।
প্রায় ১০ কোটি ৬০ লাখ ভোটার আজ দেশটির চারটি রাজ্য সরকার ও পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ২৭২ জন সদস্যকে নির্বাচিত করবেন। তবে দেশটির মানবাধিকার কমিশন বলেছে, কোনো রকম রাখঢাক না রেখেই নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা রোধ করার জন্য পাকিস্তানজুড়ে ৩ লাখ ৭০ হাজারের বেশি সেনাসদস্য ও সাড়ে চার লাখ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনে মূলত নওয়াজ শরীফের ভাই শাহবাজ শরীফের নেতৃত্বাধীন পিএমএল-এন ও ইমরানের খানের নেতৃত্বাধীন পিটিআই’র মধ্যে লড়াই হবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি তৃতীয় স্থানে থাকবে বলেই বিশ্লেষকদের ধারণা।
স্থানীয় সময় আজ সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকেই পাকিস্তানে এখন একটাই প্রশ্ন, ইমরান খানই কি পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন। সম্প্রতি বিবিসি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসের কথা বলেছিলেন তিনি। তার দাবি, দুর্নীতিমুক্ত প্রার্থী হিসেবে জনগণ তার দলকেই ভোট দিবেন।
দেশটির সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন নওয়াজ শরীফ। পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে নাম আসার পর দুর্নীতির অভিযোগে আদালতের রায়ে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। সম্প্রতি দেশে ফেরার পর গত মাসে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। একই অভিযোগে কারাগারে যাওয়া নওয়াজ কন্যা মরিয়ম নওয়াজ গত সোমবার বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেশটির সেনাবাহিনীর সমালোচনা করেছেন। তার অভিযোগ, সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে আদালতকেও ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
তথ্য সূত্র: বিবিসি
Comments