এভাবে হারার কোন ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছে না মাশরাফি
এমন না যে রান বলের চেয়ে রান অনেক বেশি, তাই আগ্রাসী খেলতে গিয়ে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। এমনও না যে উইকেট নেই হাতে। হাতে ৬ উইকেট নিয়ে শেষ দুই ওভারে ১৩ রান নিতে পারার ব্যাখ্যা তাই খুঁজে পাচ্ছেন না হতাশ অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা।
উইকেট, আবহাওয়া সব বাংলাদেশের মতো হওয়ায় গায়ানাতেই জেতার সম্ভাবনা বেশি ছিল। প্রথম ওয়ানডেতে দাপটের সঙ্গে জেতার পর দ্বিতীয়টিতেই আসতে পারত অনায়াস জয়। কিন্তু উইন্ডিজের দেওয়া ২৭২ রানের লক্ষ্যে তীরে এসেও ব্যাটসম্যানরা ডুবিয়েছেন তরী। দল হেরেছে তিন রানে।
কেন এমন হার, কি ব্যাখ্যা তার। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক দিতে পারেননি তা, ‘এই ধরনের ম্যাচ হারা তো অবশ্যই হতাশার। শেষ ১৩ বলে ১৪ রান লাগবে, ৬ উইকেট হাতে...ওখান থেকে ম্যাচ হারার আসলেই কথা না। এটা যে এমন না যে প্রথমবার হলো। এটা বেশ কয়েকবার সাম্প্রতিক সময়ে হয়েছে। আমরা বারবার ভুল থেকে শিখছি না। এখানে সহজেই খেলাটা শেষ করা দরকার ছিল।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ৩ বলে ২ রান নিতে না পারায় সেই স্মৃতি এদিন আবার ফিরেছে গায়ানায়। আবারও শেষ অঙ্কে দায় ছিল মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর। বিষয়টা টেকনিক্যাল নাকি মনস্তাত্ত্বিক বুঝে উঠতে পারছেন না অধিনায়ক, ‘টেকনিক্যাল, মেন্টাল...আসলে ব্যাখ্যা করা কঠিন। যদি ১৩ বলে ২০ রান লাগত তাও বোঝা যেত। কিন্তু ১৩ বলে যখন ১৪ রান লাগবে তখন টেকনিক্যাল, মেন্টাল কোনটাই বলা কঠিন। সত্যি কথা বললে আমরা এই ধরনের ভুল বারবার করছি এসব পরিস্থিতিতে। স্নায়ুটা আরও সহজ রাখা যেত। এক-দুই করে খেলার প্রবণতা থাকলেও খেলাটা বের করা যেত। যেটা আমরা করতে পারিনি। ’
দলকে জেতানোর সুযোগ ছিল মাশরাফির সামনেও। একদম শেষ বলে গিয়ে স্ট্রাইক পেয়েছিলেন তিনি। চার মারলে ম্যাচ হতো টাই। কিন্তু নিতে পারেন এক রান। মাশরাফি অবশ্য মোড় ঘোরানো মনে করছেন মাহমুদউল্লাহ আর সাব্বির রহমানের আউটের সময়টা, ‘খেলা তো ধরেন শেষ বল পর্যন্তই ছিল। এখনে তো বলা কঠিন। তবে রিয়াদ রান আউট না হলে হয়ত আগেই শেষ হত। তারপর রুম্মানের (সাব্বির) আউটটা...’
Comments