বার্লিনে ওজিলের সমর্থনে বিক্ষোভ

অসম্মান ও বর্ণবাদের স্বীকার হওয়ায় বেশ কিছু দিন আগে জার্মান জাতীয় দল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মেসুত ওজিল। তবে রোববার ওজিলকে সমর্থন জানিয়ে শতাধিক ভক্ত বিক্ষোভ করেন বার্লিনে। তাদের অনেকের হাতেই ছিল তুরস্কের পতাকা।

‘আমিই ওজিল।’ এমন লেখা সমৃদ্ধ টি-শার্ট গায়ে দিয়ে ভক্তরা প্রতিবাদ করেন। অনেকেই জার্মানির রাজধানীতে উড়িয়েছেন তুরস্কের পতাকা।

বিশ্বকাপে জার্মানির ব্যর্থতার কারণে ঘৃণিত বার্তা হতে শুরু করে হুমকিও পাচ্ছিলেন ওজিল। গ্রুপ পর্বে হারের দায়টা যেন ওজিলের ঘারে চাপাতে চাইছিলেন কিছু উগ্র সমর্থক। তাই বাধ্য হয়েই জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ওজিল।

আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর ঘোষণার দিনে বিশাল এক লিখিত বিবৃতি দেন ওজিল। তাতে লিখেছিলেন, ‘আমি জার্মান যখন জিতি, আর যখন হারি তখন একজন অভিবাসী।’

মূলত বর্ণবাদের প্রতিবাদেই অবসর নেন ওজিল। জার্মান ফুটবল ফেডারেশন অবশ্য বর্ণবাদের ঘটনা অস্বীকার করে।

ইনট্রাখট ফ্র্যাঙ্কফুর্টের বর্তমান স্পোর্টিং ডিরেক্টর ও সাবেক জার্মান স্ট্রাইকার ফ্রেডি বোবিচ ওজিলের অবসর নেওয়াকে কাপুরুষতা হিসেবেই আখ্যায়িত করেছেন।

জার্মান গণমাধ্যম বিল্ড এম সোনটাগকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমার মনে হয় এটা ছিল কাপুরুষতা। এ ঘটনায় সে টিভিতে সরাসরি সাক্ষাৎকার দিতে পারতো। আমাদের ফুটবলারদের ক্ষেত্রে একটাই নিয়ম পুরুষের মতো দাঁড়ানো।’

ওজিল তৃতীয় প্রজন্মের তুর্কি বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিক। জার্মানির গেলসেনকিরচেনে তার জন্ম হয়। ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন আর্সেনালের এ খেলোয়াড়।

তবে নিজ দেশে অবহেলিত হলেও আর্সেনালে সতীর্থ ও নতুন কোচ উনাই এমরিকে পাশেই পাচ্ছেন ওজিল। প্রস্তুতি ম্যাচে গানারদের ভালোবাসাই পেয়েছেন তিনি।

মূলত বিশ্বকাপের আগে তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে দেখা করেন ওজিল ও গুন্ডুগান। এরপর তার একটি ভিডিও ক্লিপ নিজের ইনস্টাগ্রামে আপলোড করেন ওজিল। আর এ বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেনি জার্মানরা।

ডানপন্থী রাজনীতির কারণে এরদোয়ানের ভাবমূর্তি নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বে প্রশ্ন আছে। এমন একজনের সঙ্গে ছবি তুলায় জার্মান দলের মূল্যবোধ নষ্টের অভিযোগ তোলা হয়েছিল ওজিলের বিরুদ্ধে।

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

50m ago