মোদি-ইমরান ফোনালাপে সম্পর্ক উন্নয়নের আশাবাদ
দুই ‘চিরশক্র’ প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ‘তিক্ত’ সম্পর্ককে একটু ‘মিঠে’ করার আশ্বাস দিলেন দুই পক্ষই। এর আগেও এমনটি হয়েছিলো। কিন্তু, বাস্তবে মিলেনি সুফল। তবুও বলতে হয় ‘আশা তার একমাত্র ভেলা’।
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে সাবেক ক্রিকেটার ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্রধান ইমরান খানের এগিয়ে থাকার সুবাদে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে সুযোগ এসেছে প্রতিবেশী দেশ দুটির সম্পর্ককে আরও পোক্ত করে নেওয়ার।
গতকাল (৩০ জুলাই) এক টুইটার বার্তায় ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের অফিসিয়াল মুখপাত্র রাভেশ কুমার জানান, “পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ইমরান খানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন। সাম্প্রতিক নির্বাচনে পাকিস্তানের জাতীয় গণপরিষদে বড় দল হিসেবে পিটিআই-এর আর্বিভাবের জন্যে তিনি ইমরানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।”
বার্তায় আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী মোদি পাকিস্তানে মজবুত গণতন্ত্রের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করার পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে শান্তি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এর আগে পাকিস্তানের ভাবী প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় কাশ্মীর সমস্যা মেটানোর লক্ষ্যে ভারত এক পা এগোলে তিনি দুই পা এগোতে রাজি- এমন মন্তব করেন।
সেই মন্তব্যের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তাটিকে ইতিবাচক ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। দুই দেশের শীর্ষ নেতার আলাপের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারত-শাসিত কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মাহবুবা মুফতি। তিনি বলেন, “আশা করি, এই আলোচনা আশাবাদকে ছাড়িয়ে আরও দূরে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এবং দেশ দুটির মধ্যে টেকসই সুসম্পর্কের আবহ সৃষ্টি করবে।”
এদিকে, পাকিস্তানের গণপরিষদের ২৭২টি আসনের মধ্যে ১১৬টি আসনে জয়ী হয়েছে ইমরান খানের দল। যদিও সরকার গঠনের জন্যে প্রয়োজনীয় ১৩৭ আসন থেকে বেশ কিছুটা দূরে থাকলেও ইমরানই দেশটির প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন বলে সবার ধারণা। এছাড়াও, গতকাল পিটিআইয়ের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে আগামী ১১ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন ইমরান খান।
Comments