রোনালদো কি রিয়াল মাদ্রিদকে অপছন্দ করেন?

সাম্প্রতিক সময়ে রিয়াল মাদ্রিদের প্রায় সব গুলো সাফল্যই এসেছে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর হাত ধরেই। শেষ পাঁচ বছরে চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা এনে দিতে মুখ্য ভূমিকাই ছিল এ পর্তুগিজ তারকার। কিন্তু তারপরও দল ছাড়তে হয়েছে রোনালদোকে। এতো এতো সাফল্য এনে দেওয়া তারকাকে সুখী করতে পারেনি ক্লাব কর্তৃপক্ষ।

সাম্প্রতিক সময়ে রিয়াল মাদ্রিদের প্রায় সব গুলো সাফল্যই এসেছে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর হাত ধরে। শেষ পাঁচ বছরে চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা এনে দিতে মুখ্য ভূমিকাই ছিল এ পর্তুগিজ তারকার। কিন্তু তারপরও দল ছাড়তে হয়েছে রোনালদোকে। এতো এতো সাফল্য এনে দেওয়া তারকাকে সুখী করতে পারেনি ক্লাব কর্তৃপক্ষ।

অনেক দিন থেকেই নানা বিষয় নিয়ে ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফ্লরেন্তিনো পেরেজের সঙ্গে সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছিল না রোনালদোর। তার প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি ও নেইমারের তুলনায় অর্ধেক বেতন পেতেন তিনি। এ নিয়েও চলেছে নানা ঝামেলা। তিনি থাকতেও একই পজিশনে বিকল্প খেলোয়াড় খোঁজাও পছন্দ হয়নি তার। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই ক্লাব ছেড়েছেন।

ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাসে যোগ দেওয়ার পর দুদিন আগে দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন রোনালদো। এর আগে তার স্পন্সর নাইকির অনুষ্ঠানে লম্বা সময় ছিলেন চীনে। তুরিনে ফিরে প্রথমেই যে কাজটি করলেন তা প্রায় অবিশ্বাস্য। ইনস্টাগ্রামে রিয়াল মাদ্রিদের প্রোফাইলকে আনফলো করেছেন তিনি। তাতেই গুঞ্জন উঠেছে সাবেক ক্লাবকে অপছন্দই করেন পাঁচ বারের ব্যালন ডি'অর জয়ী এ তারকা।

জুভেন্টাসের সতীর্থদের প্রায় সবাইকেই ফলো করেছেন রোনালদো। কিন্তু তার ফলো তালিকায় সাবেক ক্লাব না থাকলেও রয়েছেন সাবেক সতীর্থরা। এমনকি আছেন সাবেক কোচ কার্লো এনচেলত্তি ও জিনেদিন জিদানও। তাতেই আলোচনা তাহলে ক্লাবের উপরই সব রাগ রোনালদোর?

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ২০০৯ সালে ৮০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে রিয়ালে নাম লিখিয়েছিলেন রোনালদো। গত ১০ বছরের ক্লাবের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনটি নিজের করে নিয়েছেন। ৪৩৮ ম্যাচে করেছেন ৪৫০টি গোল। চারটি চ্যাম্পিয়ন লিগ, দুটি লা লিগা, দুটি কোপা দেল রে,  দুটি স্প্যানিশ সুপার কাপ, তিনটি ইউরোপিয়ান সুপার কাপ ও তিনটি ক্লাব বিশ্বকাপ জিতেছেন। এ ক্লাবে থেকেই জিতেছেন চারটি ব্যালন ডি’অরও।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago