হাসপাতালে শহিদুল, দেখা করতে পারেননি আইনজীবী

শহিদুলের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন হাসপাতালে গেলেও তার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। পুলিশ বলেছে, তিনি রিমান্ডে আছেন। তাই কাউকে তার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হবে না।
আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের উদ্দেশে কথা বলার চেষ্টা করলে গত ৬ আগস্ট তড়িঘড়ি করে করে মাইক্রোবাসে তোলা হয় শহিদুল আলমকে। ছবি: পলাশ খান

হাইকোর্টের আদেশের পর খ্যাতিমান আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে চিকিৎসার জন্য আজ সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তবে শহিদুলের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন হাসপাতালে গেলেও তার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। পুলিশ বলেছে, তিনি রিমান্ডে আছেন। তাই কাউকে তার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হবে না। ব্যারিস্টার সারা হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এই কথা জানিয়েছেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি সূত্র জানায়, পুলিশি হেফাজত থেকে শহিদুল আলমকে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় হাসপাতালের একটি কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ তথ্য প্রচারের অভিযোগে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলায় রিমান্ডে থাকা শহিদুল আলমকে গতকাল মঙ্গলবার পুলিশের হেফাজত থেকে অবিলম্বে হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট৷ 

শহিদুলকে রিমান্ডে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তার স্ত্রী রেহনুমা আহমেদের এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন দিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন৷

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত শনিবার ধানমন্ডি এলাকায় ছবি তোলার সময় শহিদুলের ওপর হামলা চালিয়ে ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়। এ বিষয়ে কথা বলতে বেশ কয়েকবার ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি৷ অভিযোগ করে বলেন, সিটি কলেজের পাশে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা তার ওপর হামলা চালায়।

আন্দোলন নিয়ে আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সরকারের ভূমিকার সমালোচনাও করেন শহিদুল৷ এরপর রোববার রাতে তাকে তার ধানমন্ডির বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় সাদা পোশাকে থাকা গোয়েন্দা পুলিশ৷ বিতর্কিত তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর সোমবার তাকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।

ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণে শহিদুল দাবি করেন, পুলিশ হেফাজতে তাকে মারধর করা হয়েছে৷ উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাকে আঘাত করা হয়েছে৷ আমার রক্তাক্ত পাঞ্জাবী ধুয়ে আবার পরানো হয়েছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago