এশিয়া কাপের পর সাকিবের অস্ত্রোপচারের পক্ষে বোর্ড সভাপতি
সকালে দেশে ফিরে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন এশিয়া কাপের আগেই হতে পারে তার হাতের অস্ত্রোপচার। বিকেলে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন দিয়েছেন ভিন্ন মত। তার চাওয়া ‘কঠিন হতে যাওয়া’ এশিয়া কাপে থাকুন সাকিব। বরং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের সময়টাতে করানো হোক অস্ত্রোপচার।
গেল জানুয়ারিতে বাঁহাতের কনিষ্ঠা আঙুলে পাওয়া চোটে ইনজেকশন নিয়ে খেলছিলেন সাকিব। কিন্তু তাতে ব্যাট করতে তার অস্বস্তি হচ্ছিল, দিতে পারছিলেন না সামর্থ্যের পুরোটা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষে দেশে ফিরে সাকিব স্থায়ী সমাধান পেতে দ্রুত অস্ত্রোপচারের মত দিয়েছিলেন। আর সেটা এশিয়া কাপের আগেই।
দুপুরে কোচ স্টিভ রোডসের সঙ্গে বৈঠক করেন নাজমুল। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে আসে সাকিবের ইনজুরির প্রসঙ্গ, ‘সাকিব আমাকে ফোন করেছিল। বলেছিল যে হাতে অপারেশন করাতে হবে। হেড কোচও ওখান থেকে ফোন করেছিল। কারণ যে স্ট্রেংথ ওর দরকার, সেটা পাচ্ছে না ব্যাটিংয়ে। ইনজেকশন নিয়ে নয়ে খেলছে। কিন্তু অপারেশন হলে অন্তত ছয় সপ্তাহের বিরতি দরকার। এত লম্বা বিরতি পাওয়াটা কঠিন। প্রথম চেষ্টা করা হচ্ছে যদি কোনো খেলার মাঝখানে ওকে বিরতিটা দেওয়া যায়। আর তা না হল একটা খেলাই বাদ দিতে হবে। যেটা ওকে ছাড়া খেলা আমরা চিন্তাই করতে পারছি না।’
সামনে বাংলাদেশের ব্যস্ত ক্রিকেট সূচি। অস্ত্রোপচার করালে কোন একটা সিরিজ সাকিবকে ছাড়া নামতেই হবে। এশিয়া কাপের চেয়ে জিম্বাবুয়ে সিরিজ কম গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় বোর্ড সভাপতি চান এশিয়া কাপ খেলেই অপারেশন টেবিলে যাক সাকিব, ‘এশিয়া কাপের আগেও হতে পারে, পরেও হতে পারে। জিম্বাবুয়ে সিরিজের সময় হতে পারে। আজকে কোচের সঙ্গে যে কথা হয়েছে, ও বলেছে এশিয়া কাপের কথাই। আমি বলেছি, এশিয়া কাপের চেয়ে ভালো হয় আমরা জিম্বাবুয়ে সিরিজের সময় করি। নতুন কিছু ক্রিকেটারও দেখতে পরব আমরা। ওটাতে আমার মনে হয় ভালো হবে। এশিয়া কাপ এমনিতেই এবার কঠিন হবে। তার ওপর সাকিবের মতো একজন ক্রিকেটার না খেললে দলের মোরাল আরও উইক হয়ে যেতে পারে। তার পরও আরও কথা হবে। আজ-কালকের মধ্যে সাকিবের সঙ্গে কথা বলব। আমার মনে হয়, অন্য সময় করাটাই ভালো হবে।’
জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় কাপের ফাইনালে ফিল্ডিং করতে গিয়ে বা হাতের কনিষ্ঠা আঙুলে চোট পান সাকিব। লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাইরে থাকতে হয় তাকে। শুরুতে ছিলেন না নিদহাস কাপেও। অস্ট্রেলিয়া গিয়ে ইনজেকশন নিয়ে যোগ দেন দলে। ওই চোটে তার আঙুলের জোড়া নড়ে গেছে। দুই হাড়ে ঘষা লাগায় পুরো বাঁকাতে পারছেন না কনিষ্ঠা আঙুল। এতে বল করতে সমস্যা না হলেও ব্যাটিংয়ে অস্বস্তি হচ্ছিল বলে জানান সাকিব।
Comments