ভারতের সাবেক স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় প্রয়াত
প্রয়াত ভারতের লোকসভার সাবেক স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৮ টা ১৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) থেকে গুরুত্বর অসুস্থতা নিয়ে কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৮৯ বছরের প্রবীণ বাম নেতা। কিডনিসহ বার্ধক্যজনিত রোগে দীর্ঘ দিন ধরে ভুগছিলেন তিনি।
২০০৪ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ভারতের লোকসভার স্পিকার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন সোমনাথ। সেই সময় তিনি দল, মতের ঊর্ধ্বে সংসদীয় আইনের মধ্যে থেকে সকল সদস্যদের সমানভাবে সুযোগ সৃষ্টি করে ভারতের সংসদীয় ইতিহাসে একটা দৃষ্টান্ত গড়েন। বিশেষ করে ২০০৮ সালে ভারত-মার্কিন পরমাণু চুক্তির বিরোধিতা করে ভারতের তৎকালীন মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স বা ইউপিএ সরকারের ওপর থেকে সিপিআইএম সমর্থন তুলে নিলেও নৈতিকতার কারণ দেখিয়ে স্পিকারের পদ থেকে ইস্তফা দেননি সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। এর জন্য তাকে চরম মূল্যও দিতে হয়েছিল। দল তাকে বহিষ্কার করেছিল।
সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় নয় বারের নির্বাচিত সাংসদ ছিলেন। একজন বর্ষীয়ান আইনজ্ঞ হিসেবে তিনি আন্তর্জাতিক মহলে পরিচিত ছিলেন। বাংলাদেশের একজন অকৃত্রিম বন্ধুও ছিলেন তিনি।
সোমনাথ ১৯৭১ সালে প্রথমবার লোকসভার সাংসদ হন। এর আগে তিনি ১৯৬৮ সালে সিপিএমের রাজনীতিতে যোগ দেন।
টানা ৯ বার তিনি লোকসভার সাংসদ পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৮৯ সাল থেকে ২০০৪ পর্যন্ত লোকসভায় সিপিএমের দলনেতাও ছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ১৯২৯ সালের ২৫ জুলাই আসামের তেজপুরে জন্মগ্রহণ করেন সোমনাথ চ্যাটার্জি। তার পিতা নির্মল চন্দ্র চ্যাটার্জিও ছিলেন একজন প্রথিতযশা আইনজীবী ও বুদ্ধিজীবী।
বর্ষীয়ান এই রাজনীতিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ শীর্ষ বাম নেতৃত্ব। শোকবার্তা জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও।
Comments