বিপিএল জানুয়ারিতেই তবে...
জাতীয় নির্বাচনের কারণে চলতি বছরের বিপিএল পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল সামনের বছরের শুরুতে। ফ্রেঞ্চাইজিদের সঙ্গে বৈঠক করে বিপিএলের সম্ভাব্য নতুন সূচিও ঠিক করে রাখে টুর্নামেন্টটির পরিচালনা কমিটি। তবে তাতেও মিটছে না শঙ্কা। জাতীয় নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা হয়নি। নির্বাচন যেতে পারে জানুয়ারিতেও। সেক্ষেত্রে কি হবে তা এখনো ভেবে দেখেনি বিসিবি।
নিয়রাপত্তা জনিত কারণে বিপিএল পিছিয়ে যাওয়ায় অক্টোবরে এগিয়ে আনা হয় জিম্বাবুয়ে সিরিজ। ডিসেম্বরে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ। ফেব্রুয়ারি-মার্চে আছে বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর। জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি এই সময়টা ছাড়া তাই বিপিএলের জন্য কোন স্লট দেখছেন না বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস, 'যেটি আমরা ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছি যে বিপিএল ৫ই জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে। সেই তারিখটিই থাকছে। এখন আমাদের আর কিছু করার নেই। আপনারা জানেন যে নিউজিল্যান্ডে যাবে দল। এর আগে কোন স্লট নেই। এর মধ্যে হয়তো আপনারা জানেন যে নভেম্বর থেকেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে। ঠিক কবে নির্বাচন হবে তার সঠিক তারিখও আমরা জানি না। এই কারণে একটি সেফ সাইড চিন্তা করে আমরা ৫ই জানুয়ারি ঠিক করেছি।’
‘সেফ সাইড’ চিন্তা করে ৫ জানুয়ারি তারিখ ঠিক করলেও দেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি কেমন থাকবে তার উপর নির্ভর করছে এখন টুর্নামেন্টটির ভবিষ্যৎ। তবে এই সময়টা বিপিএল আয়োজনের আরেকটি সমস্যা খুঁজে পাচ্ছেন জালাল ইউনুস। বেশিরভাগ দলের খেলা থাকায় অনেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারকে ছাড়াই হতে পারে বিপিএলের পরের আসর, ‘একটা অসুবিধা হতে পারে যে আমরা অনেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারকে পাচ্ছি না। তাদের অনেকের ব্যস্ত সূচি থাকতে পারে। তবে এর মধ্যেই আমাদের মানিয়ে নিতে হবে।'
২০১৯ সালে জানুয়ারি বিপিএল হলে ওই বছর শেষ দিকে আর পরের আসর হবে না। সেক্ষেত্রে ২০২০ সালের মার্চ মাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে বিপিএল আয়োজনের চিন্তা বিসিবির, 'মার্চে বিপিএল অনুষ্ঠিত হবে ২০২০ সালে। কারণ আমরা এক ফাইনান্সিয়াল ক্যালেন্ডারে দুটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চাইছি না। যেহেতু এবারের আসরটি জানুয়ারিতে চলে এসেছে তার মানে ২০১৯ সালে চলে আসছে পরবর্তী বিপিএলটি। সেই কারণে আমরা ২০২০ সালে আরেকটি বিপিএল করবো।'
Comments