‘কথা বলার অপরাধে’ গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দাবি

অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এমন ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার না করতে এবং শুধুমাত্র কথা বলার অপরাধে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
students protest
১ আগস্ট ২০১৮, ঢাকার সায়েন্স ল্যাব মোড়ে শিক্ষার্থীরা রাস্তা বন্ধ করে নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্লোগান দেয়। ছবি: শেখ মেহেদী মোরশেদ

অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এমন ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার না করতে এবং শুধুমাত্র কথা বলার অপরাধে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।

সংস্থাটির এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যান্ড অ্যাডামস এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে এই দাবি জানান।

তিনি বলেন, বিরোধীদের দমন করতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থকরা যখন বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠিসোটা, লোহার পাইপ ও চাপাতি নিয়ে হামলা চালালো তখন দেখা যায় সরকার এর সমালোচনাও সহ্য করতে নারাজ।

শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের ওপর সহিংস হামলার বেশ কয়েকজন সমালোচনাকারীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট ট্র্যাকিং করে খুঁজে বের করার পর আটক করা হয়েছে বলেও সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে বার্তাটিতে।

সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বার্তায় বলা হয়, “সম্প্রতি প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার বাংলাদেশে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এর ফলে মত প্রকাশের ধারাটি আজ বন্ধ হওয়ার উপক্রম।”

তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় প্রখ্যাত আলোকচিত্রী শহিদুল আলম এবং অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদের গ্রেপ্তারের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে বার্তাটিতে।

এতে বলা হয়, “আগে বাংলাদেশ সরকার বলেছিল সেই আইনটির অপব্যবহার হচ্ছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করার কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই। কিন্তু, বস্তুত সরকার তাই করছে।”

গত ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে দুটি বাসের রেষারেষিতে দুজন শিক্ষার্থী নিহত হলে এর প্রতিবাদে এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর, আন্দোলন থেমে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রতিবাদকারীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করছে বলে শিক্ষার্থীরা সংস্থাটিকে জানিয়েছে বলেও বার্তায় জানানো হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago