আবারো ভারত বধ করে শিরোপা জিততে চায় বাংলাদেশ
এতো আর ক্রিকেট ম্যাচ নয়, এটা ফুটবল। যেখানে প্রতিনিধিত্ব করছে বাংলাদেশের এক ঝাঁক কিশোরীরা। আর সে কিশোরীরা পরিষ্কার ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই মাঠে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে মাঠে নামছে শনিবার। সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসরের ফাইনালে ফেবারিটের তকমা গায়ে মেখেই মাঠে নামবে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।
এ টুর্নামেন্টের গত আসরে ভারতকে হারিয়েই শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। আর চলতি আসরে তো আরও দুর্দান্ত। আগের তিন ম্যাচে তার গোল দিয়েছে ২২টি। খায়নি একটি গোলও। তবে দারুণ খেলছে ভারতও। আগের তিন ম্যাচে তারাও দিয়েছে ১৫টি গোল। খেয়েছে ১টি। যে নেপালকে ৩-০ গোলের হারিয়েছিল বাংলাদেশ, তাদের বিপক্ষে সেমিফাইনালে জিততে ঘাম ছুটে গিয়েছিল ভারতীয়দের। শেষে ম্যাচ জিতে নেয় ২-১ গোলে।
কিন্তু ফাইনাল বরাবরই ভিন্ন উত্তেজনা আনে। নির্দিষ্ট দিনে ভালো খেলতে না পারলেই সব শেষ। তবে এতো দূর এসে থেমে যেতে চায়না কিশোরীরা। শিরোপাটা যে তাদের চাই-ই চাই। অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা জানালেন এমনটাই, ‘আমরা প্রস্তুত। সবাই প্রতিজ্ঞা করেছি ফাইনালে নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলব। যাতে ভারতের বিপক্ষে জয় পাই এবং শিরোপা জিততে পারি। ভারতকে শুরু থেকেই চাপে রেখে খেলার চেষ্টা করব এবং যত দ্রুত সম্ভব গোল আদায় করে নিব। যদিও ভারত ভালো দল এবং তাদের কয়েকজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রয়েছে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে শিরোপা অক্ষুণ্ণ রেখে দেশে ফেরা।’
সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে আছেন তিনজন, তাদের দুইজনই বাংলাদেশের। শামসুন্নাহার জুনিয়র ও তহুরা খাতুন, গোল করেছেন ৪টি করে। ফাইনালেও তাদের দিকেই থাকবে বাংলাদেশ। ফাইনালেও যত দ্রুত সম্ভব গোল করতে চান তহুরা, ‘আমরা ফাইনালে উঠেছি। এখন ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে আমরা আমাদের শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করব। শিরোপা জেতাটা আমার স্বপ্ন। ফাইনালে আমি যত দ্রুত সম্ভব গোল করতে চাই। যেমনটা আগের তিন ম্যাচে বাংলাদেশ দলের হয়ে আমি করেছি।’
এখন পর্যন্ত কোন গোলই খায়নি বাংলাদেশ। কৃতিত্বটা যেমন জমাট ডিফেন্সের। তেমনি গোলরক্ষক মাহমুদা আক্তারেরও। ফাইনালেও তেমনটাই রাখতে চান, ‘স্বাগতিক ভুটানের বিপক্ষে সেমিফাইনালে বড় ব্যবধানে জিতে ফাইনালে আসতে পেরে আমি খুবই খুশি। এখন আমাদের আরো ভালো খেলতে হবে। আমি আমার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করব যাতে ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে জয় পাই। গোলরক্ষক হিসেবে আমি আমাদের গোলপোস্ট অক্ষত রাখার চেষ্টা করব। যেমনটা আগের তিন ম্যাচে করেছি।’
শিরোপা ধরে রাখার ব্যাপারে আশাবাদী কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটনও, ‘এই ম্যাচে আমরা আমাদের সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে খেলব যাতে শিরোপা জিততে পারি। এই টুর্নামেন্ট খেলতে আসার আগে এটাই আমাদের লক্ষ্য ছিল। গ্রুপ পর্ব ও সেমিফাইনালে আমরা আমাদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলেছি। ফাইনালে এসেছি। এই টুর্নামেন্টের জন্য গেল ৭ মাস আমরা অনুশীলন করেছি। দেশের সবাই আমাদের দলের জন্য দোয়া করবেন।’
ফাইনাল ম্যাচকে সামনে রেখে আজ শুক্রবার সকালে চাংলিমিথান স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের মেয়েরা প্রায় ৪০ মিনিট জিমে অনুশীলন করে। এরপর চলে মাঠের অনুশীলন। দলের কোন ইনজুরি সমস্যা নেই। সবাই শারীরিক ও মানসিকভাবে ফিট আছে বলে জানিয়েছেন টেকনিক্যাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক ডিরেক্টর থমাস পল স্মলি। ফাইনালে তাদের সেরাটা দিয়ে খেলে শিরোপা জিততে প্রস্তুত বলেই জানালেন তিনি।
Comments