রোনালদো নেই, দর্শকও নেই
বর্তমান ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। ঐতিহ্যের দিকেও এ স্প্যানিশ দলটি বিশ্বসেরা। তাদের মতো সাফল্যও নেই কোন ক্লাবের। সারা বিশ্বে এ ক্লাবের সমর্থক অন্য যে কোন ক্লাবের চেয়ে ঢের বেশি। অথচ বিস্ময়কর হলেও সত্যি ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো চলে যাওয়ার প্রভাব বেশ ভালো ভাবেই পড়ছে জনপ্রিয় এ ক্লাবে।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আগের দিন গেটাফের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল রিয়াল। ঘরের মাঠে লাল লিগার প্রথম ম্যাচে সমর্থকদের আগ্রহটা অনেক বেশিই থাকার কথা। কিন্তু বিস্ময়কর ভাবে এ ম্যাচে তেমন আগ্রহই ছিলো না স্থানীয় সমর্থকদের। মাত্র ৪৮,৪৪৬ জন সমর্থক উপস্থিত ছিল স্টেডিয়ামে। অথচ স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা ৮১,০৪৪। অর্থাৎ প্রায় ৪১ শতাংশ আসনই ছিল খালি।
রোনালদো রিয়ালে যোগ দিয়েছিলেন ২০০৯ সালে। এরপর থেকে বার্নাব্যুতে এতো কম উপস্থিতি কখনোই হয়নি। অথচ এবার লা লিগা কর্তৃপক্ষ স্থানীয় দর্শকদের সুবিধার্থে ম্যাচের সময় কিছুটা পিছিয়ে নিয়েছে। স্থানীয় সময় ২২.১৫ টায় শুরু হয়েছিল ম্যাচ। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। রোনালদোর ক্লাব ছাড়া বেশ ভারী পরে গেছে রিয়ালের জন্য।
২০০৯ সালের মে মাসে এর চেয়ে কম দর্শক দেখেছিল বার্নাব্যু। সে ম্যাচে মালোরোকার কাছে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হেরেছিল রিয়াল। ওই গ্রীষ্মেই রোনালদো, কাকা, জাভি আলনসো ও করিম বেনজেমার মতো খেলোয়াড় কিনেছিল দলটি। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের। কিন্তু এতো বছর পর রোনালদো দল ছাড়ার পর আবার দর্শক খরা দেখতে পেল দলটি।
রোনালদো দল ছাড়ার পর অনেক ভক্তই সামাজিক মাধ্যমে রিয়াল মাদ্রিদকে আনফলো করা শুরু করে। এমনকি খোদ রোনালদোও রিয়ালের ইনস্টাগ্রাম আনফলো করেছেন। তখনই বোঝা গিয়েছিল এ পর্তুগিজ তারকার চলে যাওয়ার প্রভাব কিছুটা হলেও পড়বে। তাই বলে লিগের প্রথম ম্যাচেই এমনটা হবে ভাবতে পারেনি কেউই।
তবে রোববার রাতে দারুণ খেলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। উয়েফা সুপার কাপে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে হারার পর দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে গেটাফেকে ২-০ গোলে হারিয়েছে দলটি। রোনালদো না থাকলেও মাঠের খেলায় তার অভাব বুঝতে দেননি ওয়েলস তারকা গ্যারেথ বেল। তবে মাঠে না হলেও গ্যালারিতে রোনালদোর অভাবটা প্রকটভাবেই ফুটে উঠেছে।
Comments