পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবী পবিত্র সরকার ও সুবোধ সরকার মুক্তি চাইলেন শহিদুল আলমের

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের গ্রেফতারের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের এমন কঠোর নীতির সমালোচনা করেছেন।
shahidul alam
আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। ছবিটি তার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে নেওয়া

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের গ্রেফতারের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের এমন কঠোর নীতির সমালোচনা করেছেন।

একজন মুক্তচিন্তার মানুষ হিসেবে শহিদুল আলম বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবীদের মাঝেও অনেক জনপ্রিয়। অনেকের সঙ্গে ব্যক্তিগত সুসম্পর্কও রয়েছে তার। পশ্চিমবঙ্গের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. পবিত্র সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ কবিতা একাডেমীর চেয়ারম্যান কবি সুবোধ সরকার এমন দুজন মানুষ।

গতকাল (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় কলকাতার রবীন্দ্রসদন মঞ্চে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা সাড়ে তিন হাজার কবিতা-গানের ডিজিটাল সংকলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধকদের মধ্যে ওই দুজনও উপস্থিত ছিলেন।

প্রখ্যাত আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের গ্রেপ্তারের বিষয়ে কলকাতার গণমাধ্যমকর্মীদের ড. পবিত্র সরকার বলেন, “আমি মনে করি গণতন্ত্রে এটা হওয়া উচিৎ নয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতাটা থাকা উচিত। সরকারের সেটা সম্মান দেওয়াও উচিত।”

শহিদুল আলমকে গ্রেফতারের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে ‘খুব শক্তিশালী কারণ’ থাকা উচিত বলে মনে করেন ড. পবিত্র সরকার।

কবি সুবোধ সরকার বলেন, “এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তিনি একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রগ্রাহক, একজন সৃষ্টিশীল মানুষ। তার জীবন এভাবে বিপন্ন করে তোলা হচ্ছে।”

“সীমান্তের ওপারের হলেও আমি যতদূর খবর রাখি, তাতে অনেকেই প্রতিবাদও করছেন। এমনকি, নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেনও কলকাতায় এসেই এর প্রতিবাদ করেছিলেন,” যোগ করেন তিনি।

কবি সুবোধ সরকার আশা প্রকাশ করেন যে দ্রুততার সঙ্গে শহিদুল আলমকে মুক্ত করা হবে। তিনি আবার আগের মতোই মুক্ত মানুষ হিসেবে সৃষ্টি করবেন।

বাংলাদেশ সরকারের দিকে ইঙ্গিত করে পশ্চিমবঙ্গের এই বর্ষীয়ান কবি বলেন, এরকমভাবে একজন শিল্পীবিরোধী সিদ্ধান্ত নেওয়াটা ঠিক হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago