সিনিয়রদের পারফরম্যান্সে তরুণদের জন্য চ্যালেঞ্জ দেখছেন সৌম্য
বিগত বেশ কদিন থেকেই সব ফরম্যাটেই বাংলাদেশকে টানছেন পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটার। তারা ভালো খেললেই ফল আসে বাংলাদেশের পক্ষে। অন্য দিকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে দলে আসা তরুণরা কেউই রাখতে পারছেন না ধারাবাহিকতার ছাপ, হতে পারছেন না থিতু, এতে বাড়ছে দলের সংকটও। ফর্ম হারিয়ে দলে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকা সৌম্য সরকারও মনে করছেন সিনিয়রদের সঙ্গে তাদের পারফম্যান্সের পার্থক্য এখন বিস্তর।
সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে দলের জয়ের নায়ক হয়েছিলেন লিটন দাস। এই এক ম্যাচ বাদে পুরো সিরিজে জুনিয়র কোন ক্রিকেটার সাফল্যের মূল কারিগর হতে পারেননি। শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরই নয়। মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই পাঁচজনই ছোটবড় সব আসরে রাখছেন মুখ্য ভূমিকা।
এশিয়া কাপ সামনে দলের সিনিয়রদের তুলনায় নিজেদের বেহাল দশায় কঠিন চ্যালেঞ্জ দেখছেন সৌম্য। বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে তার অনুধাবন, ‘এটা তরুণদের জন্য সব সময় চ্যালেঞ্জ। কারণ আমাদের সিনিয়ররা ভাল করছে। আমরা যদি তাদের একটু সমর্থন করতে পারি তাহলে আমার কাছে মনে হয় ফল আরও বেশি ভাল আসবে।’
তরুণ ক্রিকেটাররা খারাপ করায় বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কা দেখছেন অনেকে। চারপাশের ব্যাপক সমালোচনার অবশ্য যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন সৌম্য, ‘আমরা যদি ভাল করতাম, বা ঊনিশ-বিশ থাকত তাহলে এই কথাটা আসত না। এমন হয়ে গেছে যে এইটেন-টুয়েন্টি ব্যবধান এমন হয়ে গেছি। তাদের কাছাকাছি গেলে তাদের জন্যও হেল্পফুল হবে। ’
খারাপ পারফরম্যান্সের সঙ্গে তরুণ ক্রিকেটারদের নেতিবাচক খবরে আসাও সাম্প্রতিক সময়ে বহুল আলোচিত। এসব তবে ‘ব্যক্তিগত সমস্যা’ আপাতত দূরে সরিয়ে রাখার দিকে মত সৌম্যের, ‘এটা সবার ব্যক্তিগত বিষয়। যতটুকু লেখালেখি হয়েছে আমাদের নিজেদের মধ্যে চেষ্টা করি যে নেতিবাচক জিনিস না তুলি, এখন যেহেতু ক্যাম্প শুরু হয়ে গেছে। যেন ইতিবাচক চিন্তা করি। ’
Comments