যোগাযোগ বাড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন বিমসটেক নেতারা
![bimstec bimstec](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/bimstec-1.jpg?itok=GOWCE7Jt×tamp=1535702485)
সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সব ধরনের যোগাযোগ বাড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন বিমসটেক নেতারা। পাশাপাশি, দৃঢ় সহযোগিতা ও আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়ানোর কথাও বলা হয়।
১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল ও ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক) এর সাতটি সদস্য দেশ- বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের মোট জনসংখ্যা ১৬০ কোটি যা বিশ্ব জনসংখ্যার ২২ শতাংশ।
দেশগুলোর জিডিপি ২.৮ ট্রিলিয়ন ডলার হলেও নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য মাত্র পাঁচ শতাংশ। এর বেশির ভাগ হয়ে থাকে ভারত, থ্যাইল্যান্ড এবং মিয়ানমারের মধ্যে।
তাই যোগাযোগ, সহযোগিতা ও বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয় নেপালে রাজধানী কাঠমান্ডুতে গতকাল (৩০ আগস্ট) শুরু হওয়া দুদিনব্যাপী ৪র্থ বিমসটেক সম্মেলনে।
দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট/ এএনএন-এর খবরে বলা হয়: নেপালে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। তার ২৭ মিনিটের বক্তৃতায় তিনি দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে বিমসটেক-কে এই অনন্য সংস্থা হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, তার দেশ নেপাল, বাংলাদেশ এবং ভুটানের মধ্যে ডিজিটাল যোগাযোগ বাড়াতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তিনি সদস্য দেশগুলোর মধ্যে নৌ ও সড়ক যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপরও গুরুত্ব দেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তৃতায় বিমসটেক সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল সৃষ্টি করার কথা বলেন। এছাড়াও, সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বিনিয়োগ ও জ্বালানি খাতে যৌথ প্রচেষ্টার ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি।
ভুটানের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান উপদেষ্টা দাশো সেরিং ওয়াংচুক সংস্থাটির সদস্য দেশগুলোকে এক সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব মোকাবেলা করার কথা বলেন।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চ্যান-ওচা চলতি বছরের মধ্যে বিমসটেক উপকূলীয় নৌচলাচল চুক্তি স্বাক্ষরের জন্যে সদস্য দেশগুলোর আভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া শেষ করার অনুরোধ জানান। তিনি তার দেশের রানোং বন্দর ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে যোগাযোগ তৈরির প্রতি আগ্রহ দেখান।
Comments