যে ফরম্যুলায় স্লগ ওভারে রান বাড়াতে চায় বাংলাদেশ

গায়ের জোরে মেরে একদম গ্যালারিতে গিয়ে পড়ুক কিংবা মাঠ পার হয়ে যাক, রানের খাতায় যোগ হবে ছয় রানই। আবার এক ওভারে দরকার ১২ রান, দুই ছক্কায় যেমন সেটা দুই বলেই সারা যাবে। তিন চারেও সেটা করা যাবে। বাংলাদেশের শক্তি আসলে কি, সীমাবদ্ধতাই বা কি। এসব জেনে স্লগ ওভার নিয়ে আলাদা করে ভেবেছেন নতুন ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি।
Neil McKenzie-Steve-Mashrafee

গায়ের জোরে মেরে একদম গ্যালারিতে গিয়ে পড়ুক কিংবা মাঠ পার হয়ে যাক, রানের খাতায় যোগ হবে ছয় রানই। আবার এক ওভারে দরকার ১২ রান, দুই ছক্কায় যেমন সেটা দুই বলেই সারা যাবে। তিন চারেও সেটা করা যাবে। বাংলাদেশের শক্তি আসলে কি, সীমাবদ্ধতাই বা কি। এসব জেনে স্লগ ওভার নিয়ে আলাদা করে ভেবেছেন নতুন ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি।

সোমবার এশিয়া কাপের ক্যাম্পে যোগ গিয়ে দলের সঙ্গে কাজ শুরু করেছেন এই কোচ। আলাদা করে কাজ হচ্ছে স্লগ ওভার ব্যাটিং নিয়ে। আগে ব্যাট করুক কিংবা পরে ওই মানের বিগ হিটার না থাকায় স্লগ ওভারে রান বাড়াতে অনেক সময়ই ভুগতে হয় বাংলাদেশ।

ম্যাকেঞ্জি বলছেন কেবল বিগ হিটিংই না, ওই সময়ই বুদ্ধি করে রান বের করার তরিকা আছে তার কাছে, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানরা যেভাবে বলকে আঘাত করে আমরা তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে যাচ্ছি না আপাতত। কিন্তু আমরা খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক অবস্থানে যেতে পারি ভালভাবে স্কিল হিটিংয়ের মুন্সিয়ানা দেখিয়ে। বৃত্তের ভেতর চার ফিল্ডারকে টার্গেট করতে পারি, কাভারের ওপর দিয়ে বা পয়েন্ট, মিড উইকেট, শর্ট ফাইন লেগের ওপর দিয়ে খেলতে পারি।’

শারীরিক সীমাবদ্ধতা আছে। ক্যারিবিয়ানরা যেমন অনায়াসে মিস টাইমিংগুলো সীমানা পার করতে পটু, বাংলাদেশের বেলায় সেগুলো যাবে ফিল্ডারদের হাতে। নিজেদের সীমাবদ্ধতা বুঝে কৌশল ঠিক করার দিকে মত ম্যাকেঞ্জির, ‘আমার মনে হয় এই ছেলেদের আমরা অনেক বেশি ছক্কা মারিয়ে খুবই প্রতিদ্বন্দ্বী করে গড়তে পারি। কিন্তু এরচেয়ে দক্ষতাপূর্ণ শট খেলার মাধ্যমে মেধা দেখানোই আসল। মিস, মিস, ছক্কা, ছক্কা- আমি ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের এই ধরণটা বদলাতে চাই। আমি বাংলাদেশের ছেলেদের দেখতে চাই তারা চার, চার এবং চার হাঁকাচ্ছে। ’

‘আমি বড় বড় ছক্কা হাঁকানোর দিকে খুব বেশি মনোযোগী নই যেটাতে অনেককিছু ঘটতে পারে। আমরা ওভারে ১২ নিতে পারি খুব ভাল তিনটি শটের মাধ্যমে এবং আরেকটি মেধা কাজে লাগিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় বল ঠেলে দিয়ে।’

তবে বাংলাদেশ দলে বিগ হিটার যে একদম নেই তা মানতে নারাজ এই প্রোটিয়া কোচ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেই তেমন একজন মনে হচ্ছে তার,  ‘বিগ হিটার যে আমাদের একদমই নেই, তা না। সিপিএলে কালকেই রিয়াদ ১১ বলে ২৮ রান করেছে। কৌশলগতভাবে যে কেউ ভাল হিটার হতে পারে এবং বড় হিট করার মতো ভাল অবস্থানে যাওয়ার মনোভাব দেখাতে পারে।’

‘যদি প্রতি ওভারে ৬ রান নিতে মনোযোগী হন, আমি জোর দেব এক, দুইয়ের জন্য এবং ফাঁকা স্থান পেতে। আমার মনোযোগ কাভার ও মিডউইকেটের ওপর দিয়ে খেলা। আমি সরাসরি বোলারের মাথার ওপর দিয়ে হিট করে বাউন্ডারি চাই। আমি যদি ওভারে ১২ রান চাই, সেক্ষেত্রে আমাকে আরও কিছুটা চড়াও হয়ে হিট করতে হবে এবং বড় শট খেলতে হবে।’

কেবল মাত্র দায়িত্ব নিয়েছেন, টুকটাক কাজ শুরু করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই। তবে এশিয়া কাপই হবে ম্যাকেঞ্জির কাজ দেখানোর আসল মঞ্চ। অল্প দেখায় বাংলাদেশের সিনিয়র ক্রিকেটারদের বেশ মনে ধরেছে তার, ‘সিনিয়র ক্রিকেটাররা কিন্তু যথেষ্টই এগিয়েছে। বাংলাদেশের ব্যাটিং ইউনিট বেশ ভালো। আমার মনে হয়, শক্তির জায়গাগুলো আরেকটু ভালোভাবে কাজে লাগাতে হবে আমাদের। ছেলেদের ব্যাট স্পিড দারুণ, কবজির ব্যবহারও করে খুব ভালো।’

‘অন্য দলগুলির সঙ্গে তুলনায় যাওয়া কঠিন। ৬-৭ মাস পর আমাকে আবার জিজ্ঞেস করতে পারেন। তখন ওরা আরও ভালো হবে, আরও টুর্নামেন্ট খেলবে। আমিও ওদেরকে আরও ভালোভাবে জানব।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago