জানি না কীভাবে ব্যাট কিংবা বল করব: সাকিব
বাঁহাতের কনিষ্ঠা আঙুলের চোটে থাকা সাকিব আল হাসান জানিয়েছেন, তিনি মাত্র ২০ থেকে ৩০ শতাংশ ফিট। চোট সারাতে দরকার অস্ত্রোপচার দরকার। তবে আপাত সমাধান হিসেবে ইনজেকশন নিয়েই খেলে যাচ্ছিলেন সিরিজের পর সিরিজ। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এশিয়া কাপের পরই সার্জারি টেবেলি যাওয়ার কথা তার। তবে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানো অবস্থায় এই তারকা দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন এই অবস্থায় কীভাবে খেলবেন বুঝতে পারছেন না তিনি।
চলতি বছরের শুরুতে ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় কাপের ফাইনালে ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোট পান সাকিব। সেই চোটে ছিলেন না শ্রীলঙ্কা সিরিজে। শ্রীলঙ্কায় নিদহাস কাপের মাঝপথে যোগ দিয়ে দলকে ফাইনালে তুলেছিলেন। তখনো বোঝা যায়নি চোটের মাত্রা। ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে সাকিব খেলেছেন আফগানিস্তান সিরিজ, এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজে সব ফরম্যাটে খেলার পরও আসে নতুন খবর। এই চোট থেকে পরিত্রাণ পেতে নাকি দরকার অস্ত্রোপচার। চিকিৎসকদের পরামর্শ সেই অস্ত্রোপচার সুবিধাজনক সময়ে করালেই চলবে।
বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসানের অনুরোধ ছিল সাকিব যেন এশিয়া কাপটাও এমনি করে খেলে দিয়ে পরে যান সার্জারিতে। তাতে রাজী হওয়ায় সাকিবকে রেখেই দেওয়া হয় এশিয়া কাপের দল।
কিন্তু হজ পালন শেষে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটাতে যাওয়া সাকিব নিজের ফিটনেস নিয়ে শোনালেন নেতিবাচক কথা, ‘আমি বলব আমি ২০ থেকে ৩০ শতাংশ ফিট আছি এখন। এখনো আমার হাতে ব্যথা, কাজেই সত্যি কথা বলতে আমি জানি না কীভাবে ব্যাট বা বল করব। আমি অনুশীলনের বাইরেও আছি কাজেই নো আইডিয়া।’
নিঃসন্দেহে দলের সেরা খেলোয়াড় তিনি। এত বড় তারকার চোট নিয়ে খচখচানি দলে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে এমন প্রশ্নেরও উত্তর নেই তার কাছে, ‘জানি না। সাধারণত ইনজুরি থাকলে সেরা খেলোয়াড়রা খেলে না। দেখি সেখানে গিয়ে যদি মনে হয় পরিস্থিতি ভাল না (হাতের) তাহলে সোজা সার্জারিতে চলে যাব (হাসি)।’
নিজের চোট নিয়ে অস্বস্তি থাকলেও দল নিয়ে ভীষণ আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক, ‘আমাদের ভাল করা উচিত। আমি বিশ্বাস করি আমরা বেশ ভালো ওয়ানডে দল। আমাদের একাগ্র ও আত্মবিশ্বাসী থাকা দরকার। বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই ছন্দে আছে। দেখা যাক কি হয়। ’
Comments