অবিশ্বাস্য ভুলে বাংলাদেশের বিদায়
জিতলে তো বটেই, ড্র করলেই সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত হতো বাংলাদেশের। কিন্তু তাতো করতে পারলোই না। উল্টো লিভারপুল গোলরক্ষক লরিস ক্যারিয়াসের ভূত যেন ভর করে বাংলাদেশ গোলরক্ষক শহিদুল আলমের উপর। ফলে ভূতুরে এক গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ার পর আর ফেরা যায়নি। গোল শোধে মরিয়া হয়ে অলআউট খেলতে যাওয়ায় শেষ দিকে খেয়েছে আরেক গোল।
শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ভরপুর গ্যালারির সামনে বাংলাদেশ হেরেছে ০-২ গোলের ব্যবধানে। ‘এ’ গ্রুপ থেকে তাই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে পাকিস্তান ও নেপালের।
খেলার শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল বাংলাদেশেরই। ইতিহাসও বাংলাদেশের সঙ্গেই ছিল। যদিও র্যাংকিংয়ে এগিয়ে নেপাল। এর আগে তাদের বিপক্ষে ছয় হারের বিপরীতে জয় ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্সেও আশা জাগিয়েছিল।
কিন্তু ম্যাচের বয়স যখন ৩৩ মিনিট। গোলরক্ষক শহিদুল আলমের অমার্জনীয় এক ভুলে বদলে যায় ম্যাচের পরিস্থিতি। গোল তো খায়ই উল্টো মাঝ মাঠের নিয়ন্ত্রণ হারায় বাংলাদেশ। প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকে বিমল ঘারতি মাগারের নেওয়া মন্থর গতির কোণাকোণি শট ফিস্ট করে ফেরাতে গিয়েছিলেন গোলরক্ষক। কিন্তু ঠিক ভাবে করতে না পারায় বল জড়িয়ে যায় জালে। এরপরই একের পর এক মুহুর্মুহু আক্রমণে বাংলাদেশের ডিফেন্ডারদের ব্যস্ত রাখে নেপাল।
গোল খেয়ে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে বাংলাদেশ। কিন্তু লাভ হয়নি। অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে খেই হারায় তাদের আক্রমণ। সে তুলনায় বেশ গোছানো আক্রমণ করে নেপাল। বেশকিছু সহজ সুযোগ পেয়েছিল দলটি। দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ কিছু সেভ করেন সেই গোলরক্ষক শহিদুল। অন্যথায় হারের ব্যবধান আরও বড় হতে পারত। তবে ম্যাচের শেষ দিকে নবযুগ শ্রেষ্ঠার প্লেসিং শটে আরও এক গোলে লজ্জার হারেই মাঠ ছাড়তে হয় জামাল ভুঁইয়ার দলকে।
এ জয়ে তিন ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পেল নেপাল। ৬ পয়েন্ট বাংলাদেশেরও। এছাড়া ৬ পয়েন্ট পাকিস্তানেরও। কিন্তু গোল গড়ে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে থাকায় সেমির টিকেট পায় তারাই।
Comments