শহিদুলের জামিন আবেদন মঙ্গলবারের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ

আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের উদ্দেশে কথা বলার চেষ্টা করলে গত ৬ আগস্ট তড়িঘড়ি করে করে মাইক্রোবাসে তোলা হয় শহিদুল আলমকে। ছবি: পলাশ খান

আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের জামিন আবেদন মঙ্গলবারের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। শহিদুলের পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি করে আজ হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হকের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

শহিদুলের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গত ১৪ আগস্ট মেট্রোপলিটন সেশন জজ আদালতে জামিন আবেদন করা হয়েছিল। শিডিউল অনুযায়ী আগামীকাল (মঙ্গলবার) নিম্ন আদালতে জামিন শুনানি হবে।

সরকারের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানোয় অভিযোগে গত ৫ আগস্ট শহিদুলকে ধানমন্ডির বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারায় মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। সাত দিনের রিমান্ড শেষে ১৩ আগস্ট ৬৩ বছর বয়সী বিশিষ্ট এই আলোকচিত্রীকে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। তখন থেকেই ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন তিনি।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত ৪ আগস্ট ধানমন্ডি এলাকায় ছবি তোলার সময় শহিদুলের ওপর হামলা চালিয়ে ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়। এ বিষয়ে কথা বলতে বেশ কয়েকবার ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি৷ অভিযোগ করে বলেন, সিটি কলেজের পাশে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা তার ওপর হামলা চালায়।

এই ঘটনার পর আন্দোলন নিয়ে আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সরকারের সমালোচনা করেন শহিদুল৷ সাক্ষাৎকার সম্প্রচার হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাকে তার ধানমন্ডির বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় সাদা পোশাকে থাকা গোয়েন্দা পুলিশ৷

আটকের পরদিন আদালত প্রাঙ্গণে শহিদুল দাবি করেন, পুলিশ হেফাজতে তাকে মারধর করা হয়েছে৷ উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাকে আঘাত করা হয়েছে৷ আমার রক্তাক্ত পাঞ্জাবী ধুয়ে আবার পরানো হয়েছে।’

শহিদুলের মুক্তির দাবিতে অর্থনীতিতে নোবেলবিজয়ী অমর্তসেনসহ ১১ জন নোবেল বিজয়ী, ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শিল্পী-সাহিত্যিক-অভিনেতা-আলোকচিত্রী-রাজনীতিক বিবৃতি দিয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English
Khaleda Zia calls for unity

Institutionalise democracy, stay united

Urging people to remain united, BNP Chairperson Khaleda Zia has said the country must quickly seize the opportunity to institutionalise the democratic system.

2h ago