ভারতে সন্তানদের উচ্চশিক্ষা, স্ত্রীদের সফর নিয়ে খবর ভিত্তিহীন: বিজিবি

পিলখানায় সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মো. সাফিনুল ইসলাম। ছবি: মুনতাকিম সাদ

ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সঙ্গে আলোচনায় বিজিবির আলোচ্যসূচিতে সন্তানদের ভারতে উচ্চশিক্ষা ও স্ত্রীদের দিল্লি সফরের মতো ব্যক্তিগত লাভালাভের কিছু ছিল না বলে বাহিনীটির পক্ষ থেকে আজ দাবি করা হয়েছে।

৩ সেপ্টেম্বর ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে শুরু হওয়া এই সম্মেলন চলে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে এই শীর্ষ সম্মেলনে বিজিবির এজেন্ডায় সন্তানদের লেখাপড়া, বন্ধুত্বপূর্ণ খেলাধুলা এবং নানা ধরনের বিনোদনধর্মী কর্মসূচি ছিল বলে খবর বেরিয়েছিল।

আজ সোমবার ঢাকার পিলখানায় সংবাদ সম্মেলনে বিজিবির মহাপরিচালক মো. সাফিনুল ইসলামকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে খবরটিকে তিনি ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, আমাদের বৈঠকের আলোচ্যসূচি এবং দুই দেশ যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা প্রকাশ করা হয়েছে।

গত ৩ সেপ্টেম্বর বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়, ‘এই বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে যেসব বিষয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে সীমান্ত এলাকায় অপরাধ দমনের জন্যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা যেমন বলা হয়েছে তেমনি রয়েছে ভারতে বাংলাদেশী সীমান্ত রক্ষীদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষা এবং তাদের স্ত্রীদের ভারত সফরের মতো বিষয়ও।’

ওই খবরে আরও বলা হয়, দিল্লিতে বিএসএফের দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব আলোচ্য বিষয়ের কথা উল্লেখ রয়েছে। উভয়পক্ষের পছন্দের একটি জায়গায় যৌথভাবে 'মিলন মেলা' আয়োজন করা, বন্ধুত্বপূর্ণ ক্রীড়া অনুষ্ঠান, সাইক্লিং, হাইকিং, নৌকা বাইচের আয়োজন, পর্বতারোহণ, সীমান্ত এলাকায় দুই বাহিনীর মিউজিক ব্যান্ডের যৌথ অনুষ্ঠান, শুটিং প্রতিযোগিতা ইত্যাদি নিয়েও আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে বিজিবি।

বিএসএফের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া গত ২ সেপ্টেম্বরের একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেও বলা হয়েছিল বিজিবির আলোচ্যসূচিতে দুই বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে ১২ ধরনের কর্মসূচির কথা রয়েছে। সেই সঙ্গে আন্তসীমান্ত অপরাধ, মাদক চোরাচালান, বিএসএফের হাতে বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তার ও অপরাধমুক্ত এলাকা সম্প্রসারণের কথাও আলোচ্যসূচিতে ছিল।

অন্যদিকে ভারতের দিক থেকে আলোচ্যসূচিতে ছিল, বিএসএফ জওয়ানদের ওপর হামলা বন্ধ, আন্তসীমান্ত অপরাধ ও ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমন, সীমান্ত অবকাঠামো, সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও সম্পর্ক উন্নয়ন।

বিএসএফের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত শেষ প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশিত হয় গত ৭ সেপ্টেম্বর। এতে বলা হয়, ‘আলোচনায় বিজিবি ও বিএসএফ সম্পর্ক উন্নয়নের উদ্যোগকে সমর্থন করেছে।’

Comments

The Daily Star  | English
ACC finds Nagad corruption evidence

ACC raids Nagad HQ over hiring controversy

"During the drive, the ACC team found initial evidence of irregularities in the recruitment process"

58m ago