জামিন পেলেন না শহিদুল আলম

সরকারের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানোয় অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় কারাগারে থাকা খ্যাতিমান আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
ডিবি পুলিশ নিয়ে গেছে শহিদুল আলমকে
শহিদুল আলম

সরকারের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানোয় অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় কারাগারে থাকা খ্যাতিমান আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস জামিন শুনানির পর এই আদেশ দেন। আদালতে শহিদুলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন।

গতকাল সোমবার হাইকোর্ট শহিদুল আলমের জামিন আবেদন আজকের মধ্যে নিম্ন আদালতে নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছিলেন।

এর আগে শহিদুলের পক্ষে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হলে ৪ সেপ্টেম্বর দ্বৈত বেঞ্চের এক বিচারপতি বিব্রত বোধ করেন। বিচারপতি বিব্রত বোধ করায় সিদ্ধান্তের জন্য বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে যায়। এরপর প্রধান বিচারপতি নতুন বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। সেই ধারাবাহিকতায় গতকাল নিম্ন আদালতকে জামিন আবেদন নিষ্পত্তির আদেশ দেন হাইকোর্ট।

গত ৫ আগস্ট শহিদুলকে ধানমন্ডির বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারায় মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। সাত দিনের রিমান্ড শেষে ১৩ আগস্ট ৬৩ বছর বয়সী বিশিষ্ট এই আলোকচিত্রীকে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। তখন থেকেই ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন তিনি।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত ৪ আগস্ট ধানমন্ডি এলাকায় ছবি তোলার সময় শহিদুলের ওপর হামলা চালিয়ে ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়। এ বিষয়ে কথা বলতে বেশ কয়েকবার ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি৷ অভিযোগ করে বলেন, সিটি কলেজের পাশে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা তার ওপর হামলা চালায়।

এই ঘটনার পর আন্দোলন নিয়ে আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সরকারের সমালোচনা করেন শহিদুল৷ সাক্ষাৎকার সম্প্রচার হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাকে তার ধানমন্ডির বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় সাদা পোশাকে থাকা গোয়েন্দা পুলিশ৷

আটকের পরদিন আদালত প্রাঙ্গণে শহিদুল দাবি করেন, পুলিশ হেফাজতে তাকে মারধর করা হয়েছে৷ উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাকে আঘাত করা হয়েছে৷ আমার রক্তাক্ত পাঞ্জাবী ধুয়ে আবার পরানো হয়েছে।’

শহিদুলের মুক্তির দাবিতে অর্থনীতিতে নোবেলবিজয়ী অমর্তসেনসহ ১১ জন নোবেল বিজয়ী, ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শিল্পী-সাহিত্যিক-অভিনেতা-আলোকচিত্রী-রাজনীতিক বিবৃতি দিয়েছেন।

Comments